অশ্রুসিক্ত নয়নে গেয়ে যাই, তাঁদেরই জয়োগান,
ধরিত্রীর বক্ষে যাঁরা চির অসহায়,
হাড্ডিসার দেহে অক্লান্ত শ্রমে,
করে, দু'মুঠো অন্নের সংস্থান।
অসহ্য জুলুম আর অক্লান্ত শ্রমে,
সাজিঁয়ে দেয়, ধরিত্রীর উদ্যান,
নির্বিশঙ্ক হৃদে,
গেয়ে যাই সেই মহামানবদের গুণগান।
প্রখর রৌদ্রের তীব্রতায়, কুচঁকে গেছে যাঁদের,
পিষ্ঠের চর্মখানি,
মুনিবের তুষ্টির তরে, হাঁড়ভাঙা শ্রমে,
টেনে যায় জীবনের ঘানি।
ফোঁসকা পরা হস্তে, রুক্ষ মৃত্তিকা চষে,
ফলায় সোনালী ধান,
চিত্তের দ্বার চির উন্মুক্ত করে,
দিয়ে যাই তাঁদের সম্মান।
কৃষক, শ্রমিক, তাঁতি, জেলে,
কামার, কুমার, কুলি,
ওরাই মহৎ, ওরাই মহান, ঝেঁড়ে জীর্ণ সভ্যতার ধূলি।
দুস্থ, অচল, এতীম, অনাথ,
ওদেরও রয়েছে, বাঁচিবার স্বাদ,
ওরা পুলকিত দু'মুঠো পান্তায়,
যাচে না রাজকীয় প্রসাদ।
যে অসহায় বৃদ্ধ বৃদ্ধা, পেটের দায় ভিখ মাগে,
পরনে নেই বাহাড়ি পোশাক, ছিঁন্ন বস্ত্রপরে,
যে শিশু ধূলোয় লুটায়,
শুনে না কেহ তার, ক্রন্দনরোল ক্ষণিক তরে।
নিঠুর অবনীও শুনে না যাঁদের,
করুণ আহাজারীর তান,
শঙ্কার দ্বার চির রুদ্ধ করে,
গেয়ে যাই তাঁদেরই জয়োগান ।
যে দুর্বল পায় না ন্যায্য বিচার,
ত্রাসের শিকলে চির রুদ্ধ, সত্যবচন,
আমি ছিঁড়বো সেই শিকল,
জ্বালাবো সেই তিমির গৃহে,দীপ্ত তপন।
শোষণ বঞ্চনা শ্রমে ঘামে, সিক্ত যাঁদের প্রাণ,
গেয়ে যাই মুক্তরবে,তাদের জয়োগান,
ধূলি ঝেঁড়ে মাথে তুলে, দিয়ে যাই সম্মান ।


                      যবণিকা
রচনাকালঃ ১২/০৯/২০১৪ ইং