তুমি কি কখনো ছু্ঁয়ে দেখেছো,
ভারখয়ানস্কের শীতলতা,
সাইবেরিয়ার তুষার,
কিংবা এভারেস্টের হিমবাহ ?
তারচেয়েও সহস্রগুণ হিমাগ্নে,
পুঁড়ছি আমি !
কখনো কি ডুবে দেখেছো,
চিরজলন্ত তপনে, আগ্নেয় জ্বালামুখে,
কিংবা শুক্রের এসিডে ?
তারচেয়েও ট্রিনিয়নগুন দহনে,
জ্বলছি আমি !
তোমার অতীত, বর্তমান দুঃসহ্য স্মৃতি,
বইয়ে বইয়ে, মৃৎপাত্রবহনকারী কুমোরের,
কুঁচকে যাওয়া কাঁধের ন্যায়,
কুঁচকে গেছে মোর ধমনী !
চলন্ত ট্রেনের পেষণে পিষ্ট,
রেল লাইনের ন্যায়,
অপবাদের পেষণে, পিষ্ট করেছো মোরে,
কান পেতে কখনো শ্রবনি,
অসহায় রেল লাইনের করুণ আকুতি ।
রাত্রির অন্তরালে দিবস হাসে,
কখনো তা দেখোনি।
অকারনেই অনল জ্বেলে,
জ্বালিয়েছো উনুনের অভ্যন্তর,
চিতায় দাহ করেছো,
হৃৎপিন্ডটা বারংবার ।
তবুও উদার গগণের ন্যায়,নির্ভীক চিত্তে,
সর্বংসহা মৃত্তিকা হয়ে,
লালন করে যাচ্ছি,
তোমার ভালবাসা ।


                 যবণিকা
রচনাকালঃ ২৫/০৩/২০১৪ ইং