কোন এক অপরাহ্নে,
গোধূলীর যবণিকা লগ্নে,ধূসর বিস্তীর্ণ দিগন্তে,
                মৃদু হিমেল পবনে,
   ওড়নায় গা এলিয়ে, বসেছিলাম দু' জন।
            ঘন শর্বরীর আবছা তিমির,
                 বিক্ষুব্ধ জনতার ন্যায়,
তিলে তিলে ম্লান,দিবসের অন্তিম লালিমা।
         সময়ের অর্শ্ব, প্রচন্ড ক্ষিপ্রতায়,
                 ছুটেছিল হর্ষে,
              ঘোর শর্বরীর পানে।
কাদম্বিনীর কৃষ্ণকেশ আকঁড়ে ধরেছিল,
           শরতের নীল গগনটা।
যেন মেঘলা গগণটা, বৃত্তাকার ছত্র এক ।
        দূর নীলিমায় বৈদ্যুতিক
               রঙিন সভতা,
       যেন সহস্র আলোকবর্ষ।
ক্ষীণ প্রভায় নিস্তব্ধ চারিপাশ,সেথায় নেই'ক,
         সভ্যতার দূষিত কার্বন,
             লাউটস্পিকার।
চরম নির্জনতায় ভয়ার্ত ছিল, কুমারী কোমল
                   দুটি ঠোঁট।
মুক্ত পবনে উড়েছিল, বন্ধনহীন দুরন্ত,
                  কুমারী কেশ।
মোহের আকর্ষণে,মত্ত ছিল অধরে অধর
      বুভূক্ষু সিংহের ন্যায়, লভে নিতে,
               যবণিকা সুখটুকু।
অসীম আবেগে মগ্ন ছিল, নির্জন গোধূলীর,
          ধূসর বিবর্ণ, বালিয়াড়ি
                      প্রান্তর।
আজও সেই প্রান্তরেই, নির্জন নিস্তব্ধ এক
                    বিবর্ণ গোধূলী,
চরম নিঃসঙ্গতায়, একাকিত্বের বিষাদ বেদন,
            তুমি আজ পাশে নেই বলে।
খোঁচা শাশ্রুতে লেপ্টে আছে দুষর প্রন্তরের,
                বিক্ষুব্ধ বালির বৃতি,
      আর সঙ্গি হয়েছে, তোমার দেয়া,
            বিধ্বস্ত কিছু মৃত স্মৃতি।
-------০---------
                      
রচনাকালঃ ০৭/০৫/২০১৫ ইং