স্বাধীনতা,
তুমি কি চুয়াল্লিশ বয়সেই তারণ্য লুপ্তে বার্ধক্যে ?
তোমার কপালে কি জমেছে,
জীর্ণতার ভাঁজ ?
নাকি অমানিশা ঘোর তিমিরে পথভ্রষ্ট ?
আজও তো স্মৃতিসৌধের বেঁধিতে,
মুক্তির নেশায় জাগ্রত,
টগবগে রক্তের পিচ্ছিলতা !
বধ্যভূমির মাটিতে গড়াগড়ি খেলে,
বুদ্ধিজীবীর স্কাল !
শহীদ মিনারে প্রবাহমান,
তেজস্বী রক্তের উষ্ণ বহতা !
বাংলার আকাশে বাতাসে আজও প্রতিধ্বনিত হয়,
অবলার সম্ভ্রম হানীর বীভৎস চিৎকার !
এ বাংলার মৃত্তিকা মুষ্টিতে চেপে আজও পাই,
সহস্র মহান নেতার শ্রম ঘাম!
মুক্তি যুদ্ধার পদচিহ্ন,
কান পেতে শ্রবি গর্জে উঠা,
ন্যায়াস্ত্রের গর্জন!
কৃষক শ্রমিকের বিজয় উল্লাস,
সন্তানহারা মায়ের অশ্রু।
এ মাটিতে লাঙল চষে আজও পাই,
শহীদের টগবগে রক্তের ঝাঁঝ,
স্পর্ধায় দর্পভার
বীরত্ব।
আজও শ্রবি সেই বুক ফাঁটা আর্তনাত,
"মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি"।
আজও চেতনার ঝাঁঝে রক্তিম সূর্য ওঠে,
পলাশ কৃষ্ণচূঁড়া ফুটে,
স্বাধীন সুরে গায়,
মুক্ত বিহগ।
তবুও কেন আজ সেই মাটিতে,
পরাধীন বিবেক ?
কেন মাতৃগর্ভেও নিরাপত্তাহীন নবজাতক?
কেন নৃশংতার দাবানলে পুঁড়ে,
সহস্র রাজন ?
কেন ন্যায় বিচার অর্থের কাছে জিম্মি ?
কেন প্রকাশ্য দিবালোকে,
সম্ভ্রমহানী অবলার ?
কেন বীরশ্রেষ্ঠের সন্তান, আজ কুলি ?
কেন ত্রাসের চাপায় সত্যবচন?
কেন বেকারত্বের দায় গূচিতে,
যুবকের হাতে অস্ত্র ?
কেন অনিয়ম,
উশৃংখল,
দুর্নীতি ?
কেন কেন কেন?
স্বাধীনতা,
তুমি ফিরে এসো তারণ্য হয়ে,
তোমাকে যেতে হবে বহুদূর,
বাঁচতে হবে কোটি বৎসর,
এখনই গায়ে মেখো না,
বার্ধক্যের জীর্ণতা।
কোটি প্রাণের চেতনায়,
ফের বিস্ফোরিত হও,
জীর্ণতা করো ম্লান,
এনে দাও শহীদের রক্তের প্রকৃত সম্মান।
----০---