শীতের কুয়শাচ্ছন্ন পড়ন্ত বিকেলে,
মৃদু রোদে উঠোনের কোণে, প্রখর হিমেল হাওয়ায়,
বেণীর বাঁধনহীন উড়ন্ত চুলে,
সেই যে প্রথম দেখা তোমায়, কোন এক বন্ধুর
শাদীতে।
এখন শীত পেরিয়ে বসন্তে,
মধুপূর্ণ পুষ্পে মধুকর মাতোয়ারা।
পুষ্পে পুষ্পে মধুকর কতো মাখামাখি,
ডুবে ডুবে জল আমি নই,আমাকেই খাচ্ছে।
উন্মাদ বসন্তে কোকিলের ডানায় চড়েছিলাম দু'জন,
চষে বেড়িয়েছি দিগন্ত হতে দিগন্তে,
শুনেছি মধুমাখা তান।
ভাবছি, এ মধুমাখা বসন্তেই হয়ত......
না, না তা হলো না।
বসন্ত পেরিয়ে এখন গ্রীষ্মে,
তিক্ত বচনের প্রখর রৌদ্রে,পু্ষ্পমধু ম্লান।
এখন বড্ড ব্যস্ত সময় তোমার,
হয়ত নব বসন্তের নব আয়োজন তোমার মনে।
আমি অসহায় ছিঁন্নমুকুল,
দিনভর চেপে চলি নিয়তির রিকসা।
এখন বর্ষাকাল,
দু'নয়নে শ্রাবণের অশ্রু।
যেন নির্ঝরের মত অনন্তবহতা,
গিরিচূঁড়া হতে আঁছড়ে পড়ে বয়ে যাচ্ছে,
স্রোতবহা তটনী।
হয়ত অন্যমধুকর স্পর্শে যায় তোমায়,
তোমার মনে বসন্ত ঘুরে,
বসন্তই এলো,
আমি পুঁড়ি নিরাশায়,
তোমাতেই বুঝি চির বসন্ত, আমি চির বরষায়।
----০----