ওহে গগণ, কি এতো কষ্ট তোমার মনে,
কেন এতো অশ্রুঝরাও,
এ ভরা শ্রাবণের দিনে ?
বলো না গো,
কেন থাকো এতটা গোঁমড়ামুখে,
কি এতো কষ্ট জমাট তোমার বুকে।
তুমি তো মহান উদার,
খুলে দাও আবেগের রুদ্ধদ্বার,
তবে কে দিলো তোমায় এতো যাতনা,
ভরা শ্রাবণের দিনে কেন এতো কষ্ট,
আমাকে বলো না।
তুমি তো মুচকি হাসো,
ঘন অন্ধকারে মিটিমিটি তারাকার সাথে,
তবে কে দিলো গো, এ বিষাদ বীণা,
তোমার হাতে ?
আমি তো দেখেছি তোমার মিষ্টি হাসি,
পূর্ণচন্দ্রের তিথির মাঝে,
দেখেছি শুভ্রতার উড়াউড়ি, প্রাতেঃ কিবা সাঁঝে।
তবে কেন শ্রাবণ দিনে,
এতো বিষাদ ক্লিষ্টতা মনে।
আমাকে বলো না,
বিশ্বাস করো,
আমি কাউকে বলব না।
শুনো তবে চুপিসারে,
ভালবাসি মৃত্তিকারে,
মিলনে পাই না তারে,
আমায় ছেড়ে বহুদূরে।
ভরা শ্রাবণে দিনে মনেপড়ে তারে,
তাই তো অশ্রুঝরাই সর্বক্ষণ,
শ্রাবণের এ জলে ফুলে ও ফলে,
যদি সাজে মোর প্রিয়া, সাজায় অবনী তল,
তারি তরে বক্ষে আমার,
এতো শ্রাবণজল।।