নির্ঝরের অঝর বহতায় চেয়ে আছি তোমার প্রতিক্ষায়,
তুমি কি গো আসবে ?
অবনীর শৃঙ্খল ছিন্ন করে,
বিষাদ সায়র জড়িয়ে ধরে,
তুমি কি গো ভাসবে ?


দিবসযামী অহর্নিশি,
তৃষিত চাতক বক্ষে পোষী,
তব তৃষ্ণার ব্যাকুল তিয়াস অনলবর্ষে ক্ষণে ক্ষণে,
তুমি কি গো আসবে না,
আসবে না এ ভূবণে ?


পূর্ণিমার তিথি গেল,
নদীর জোঁয়ার আলুথালু
বসন্ত এসে কেঁদে গেল,
পুষ্প মাল্য চুপসে গেল তবুও এলে না,
অভিমানের শিকল ছিঁড়ে তবে কি হাসবে না ?


আর কতো তপ্ত অশ্রু শ্রাবণধারায় ঝরবে,
আর কতো কাঁদলে বলো,
আমায় মনে পড়বে ?
ওগো কুহকী, মনোহরণী,
ওগো নিশীথের নিশাজল,
অজস্র শতাব্দীর অন্ধকার দ্বন্ধকার হতে,
আমি যে তোমারি প্রতিক্ষায়,
কেমনে ভুলেছো প্রতিশ্রুতি
ভুলেছো আমায়?


ওহে প্রেমসিন্ধু
নীহার বিন্দু,
যবে অরুণ বরুণ কিরণমালা উঠবে তোমার দ্বারে,
সেদিন জানি মিশে যাবে,
এ হৃদদিঘির জোঁয়ারে,
সে ক্ষণের আশায় রইব মহাকাল ধরে,
অবিনাশী স্মৃতি রবে যদি যাই গো মরে।


(সংশোধিত)