উঁলুবনে মুক্তো ছড়ায়ে এক জনম লুকোচুরি জীবনের সাথে
সুখগুলো অধরা মরীচিকা মিছেমিছি আজন্ম পিছু ধাওয়া
বড্ড ক্লান্ত হই ক্ষণে ক্ষণে এখন আমি
অবসাদটুকু লেপ্টে দেই নারীর বুকে ক্ষণিক সুখের চুম্বনে।


অতঃপর সেথায় জন্মে দুখের প্রবাল শ্লেষ
অনটন বিরহ ক্লেশে ফের হই তৃষ্ণার্ত
তৃষ্ণার তৃপ্তজল যেন অদূরের মরীচিকা সুখ
লভিতে তা ফের পিছু ধাওয়া,সম্মুখে আদৌ কিছু নেই।


সমদুরত্বেই অধরা লুকোচুরি অবুঝ তৃষ্ণার্ত মনটা
কালের মোহতন্দ্রা চ্যূতি দীপ্তলোচন মেলে দেখি
চির শর্বরীর ঘোর গহ্বর দিক-বিদিক।


সম্মুখে অস্তাচল রবি, কেঁটে গেছে মাতৃত্বের বন্ধন
চির জীর্ণতার বিষাক্ত ঊর্ণলাভ আঁকড়ে ধরেছে আপন অস্তিত্ব
এবার আমি নই,আমাকেই কে যেন লয়ে চলেছে অনন্ত পরবাসে।
                        ---


(সংশোধিত )