বাংলা মায়ের আঁচল যখন কাঁমড়ে ছিঁড়ে অত্যাচারী,
ঘুষের টাকায় মহল গড়ে ক্ষুধায় মরে অনাহারী,
অশ্রুসিক্ত পতাকা যখন দুর্নীতির পদতলে,
রক্তে তখন আগুন জ্বলে,
রক্তে তখন আগুন জ্বলে।


পুঁজিপতির লাথি যখন ঘর্মসিক্ত শ্রমিক বুকে,
গ্রন্থগত শাসনতন্ত্রে  ন্যায় বিচার মাথাঠুকে,
সবলের কালোহাত যখন দুর্বলকে শুষে চলে,
রক্তে তখন আগুন জ্বলে,
রক্তে তখন আগুন জ্বলে।


মনুষ্যত্বের আকাল যখন স্বাধীনতা গিলে বসে,
বেকারত্বের করালগ্রাসে যুব সমাজ নেশার বশে,
প্রশাসনের রক্ত যখন মিশে চলে কালোজলে,
রক্তে তখন আগুন জ্বলে,
রক্তে তখন আগুন জ্বলে।


ক্ষমতার কালোহাত দিনকে যখন করে রাত,
মাটির বুকে কানপেতে শুনি শহীদের আক্ষেপ আর্তনাত,
মিথ্যার ষ্টীমরুলার যখন সত্যকে পিষে চলে,
রক্তে তখন আগুন জ্বলে,
রক্তে তখন আগুন জ্বলে।


জনগনের টেক্স নিয়ে নেতা যখন পকেট ভরে,
দাঁত কেলিয়ে হাসে বসে, বাসের তলে ছাত্র মরে,
অবলার আব্রু যখন হায়েনারা টেনে খুলে,
রক্তে তখন আগুন জ্বলে,
রক্তে তখন আগুন জ্বলে।


জনতা যখন পুড়ে মরে,
স্বাধীনতা আঁতুর ঘরে,
পেটমোটা প্রসাশন রিমুট চাপে টিভি খুলে
রক্তে তখন আগুন জ্বলে,
রক্তে তখন আগুন জ্বলে।


ধর্ষিতা হয় নুসরাত তনু, ফেলানী ঝুলে কাঁটাতারে
নোংরা ইতিহাস চাপা যখন পিলখানার বদ্ধঘরে,
বিবেকের বিকৃত দেখি সাধুরূপের অন্তরালে
রক্তে তখন আগুন জ্বলে,
রক্তে তখন আগুন জ্বলে।


কোটি টাকা পাচার হয়, গরীব মরে অনাহারে
নোংরা সমাজ হাসে যখন সবকিছুতেই ভেজাল মেরে
ন্যায় বিচার কেঁদে মরে সুপ্রিমকোর্টেও টেবিল তলে,
রক্তে তখন আগুন জ্বলে,
রক্তে তখন আগুন জ্বলে।


জাগো হে তরুণ, তারুণ্যের অরুণ
ভেঙেচুরে সব জীর্ণতা,
যদি আপন আলয় পরাধীন হয়, তবে কেন এ প্রহসনের স্বাধীনতা ?
আবার একটি যুদ্ধে চলো,
রক্তে রক্তে আগুন জ্বেলে,
শোষিতের মুখে হাসি ফুটুক সত্য ন্যায়ের কেতন তলে।


-সংশোধিত