নিষুপ্ত নিশীথে নিশাচরের বিচরণ,
তন্দ্রার মোহে আছন্ন সভ্যতা।
এ্যাভিনিউয়ের ল্যাম্পপোস্টের ন্যায় অনবরত জ্বলন্ত ফিলামেন্ট,
নূর হোসেনের অক্ষিতে।
লোচন প্রান্তে নেই আঁসুর নির্ঝর,
শুধু বিক্ষুব্ধ অনল বর্ষণ।
ত্রাসের প্রাচীরে বেষ্টনী বঙ্গ মৃত্তিকা,
স্বৈরাচারের শিকঁলে অবরুদ্ধ স্বাধীন সবিতা।
মুক্তির আর্তনাদে বিক্ষুব্ধ বিবেক।
সেদিন ফুল ফুটেছিল তাঁর রক্তে,স্বাধীনচেতা তেজস্ক্রিয় অনল ফুল।
দুর্বিনীত শিরে স্ফীত বক্ষে জমেছিল সাহস,
আগ্নেয়গিরির মত।
দিবাকরের অরুণ সেদিন হেসেছিল টগবগে রক্তের হাসি।
প্রলয়ের বিষাণ বাজিয়ে প্রচন্ড বিক্ষুব্ধতায়,
রাজপথে বিস্ফোরিত সেই আগ্নেয়গিরি।
দীপ্তশিখা জ্বলেছিল বক্ষে পিষ্টে,
"স্বৈরাচারী নিপাত যাক,
গণতন্ত্র মুক্তি পাক "।
সেদিন স্বৈরাচারের বিক্ষুব্ধ বন্দুক নিশানা গড়েছিল তার হৃদপিন্ডে।
ঝাঁঝরা করেছিল গণতন্ত্রের বুক,
টগবগে রক্তের জলোচ্ছ্বাস বয়েছিল বঙ্গ মৃত্তিকায়।
কাল তন্দ্রা গ্রাস করেছিল তার অক্ষিতে,
"ঘুমাও নূর হোসেন,
কতো তন্দ্রাহীন নিশীথ নিষুপ্ত কেটেছে,
ঘুমাও চির প্রশান্তির ঘুম "।


সেদিন কেঁদেছিল আহত গণতন্ত্র মুক্তির আশ্বাসে।
সেই স্রোতেই ভেসে এসেছে গণতন্ত্র।
আজ মৃতপ্রায় এ স্বাধীনতা দুর্নীতির কষাঘাতে !
আরও একজন নূর হোসেন চাই, ভাঙতে এ ত্রাসের আগল।
উল্লাসে উচ্ছ্বাসে  বলে যাক,
" দুর্নীতি নিপাত যাক,
স্বাধীনতা মুক্তি পাক "।


-সংশোধিত