চৈত্রের ভরদুপুরে, প্রচন্ড খরতাপে যেন অগ্নিবর্ষণ মর্তে
মধুপুর কলেজ হতে স্থলঘাটের মেঠোপথে দুজনেই হেঁটে চলছি
প্রখরতাময় আবছা ছায়াপথ ধরে।
কোন এক মাজারে দশটি টাকা ফেলে বলেছিলে -
আমাদের পথ যেন, চিরদিন একই বৃন্তে থাকে।
আমি ওসব বিশ্বাস করিনি বলে, প্রচন্ড রেগেছিলে
তারপর সুদীঘল কুন্তলে হাতের মেখে বলছিলাম-
আমি চিরদিনই তোমারি।
অতঃপর চলতে চলতে ভীষণ ক্লান্ত আমি,
কোন এক বৃক্ষছায়ে দুর্বাঘাসে এলিয়ে দিই তনুখানি
শীতলতার পরশে।
তুমি ঠায় দন্ডায়মাণ
যেন স্ফিংসের মূর্তি।
ক্ষণপরে, কোমল হাতের পরশ ভুলিয়ে
আবার চলা,
এ পথের অন্তিম প্রান্তে এসে
বিদায়ের পালা
তুমি চলে যাবে বলেই কেঁদে উঠে মনটা।
কাল তো দেখা হবেই,
কে জানত,
এই শেষ বিদায়ের ঘণ্টা।
আমি হেলান দিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম ত্রিমোড়ের প্রান্তবিন্দুতে
কোন এক গোরস্তান প্রাচীরে ঘেঁষে।
পাশে থাকা বন্ধু
অন্তর,
সোঁজা চলেছে সম্মুখপানে
তুমি চলেছো বামে আমার গন্তব্য ডানে।
আমি তখনো দাঁড়িয়েই,
বিদায় বেদন হৃদে অক্ষির প্রান্তে জমেছিল আবেগী মেঘ।
আহত আমি,
যেতে যেতে ফিরে ফিরে দেখেছো তুমি।
তাই বুঝি ফিরে এলে ফের,
আবেগের মধু মেখে আষ্টে পিষ্টে প্রথম আলিঙ্গন
ক্ষণিক রুমাঞ্চে রুমাঞ্চিত হল মন
নয়নে নয়ন অধরে অধর মিশেছিল কিছুক্ষণ।
রৌদ্রের প্রখরতা কিছুটা ম্লান শেষে
ফের চলে গেলে দাঁগ কেঁটে অন্তে বারেক ফিরে ফিরে দূর দিগন্তে।
সেখানেই শেষ স্মৃতি মৃত মানুষের নগরে,
অতঃপর, লামিয়া আসেনি আর ফিরে।


-সংশোধিত