হায় !
স্মৃতির চোরাবালিতে হারানো সেই শৈশব দিনগুলি,
স্মৃতির জলেই ভিজে ভিজে
খেলে যায় ডাংগুলি।
ধূসর বিবর্ণতায় নিমগ্ন পিছু পড়ে থাকা সময়ের স্তুপ,
ঝাঁঝালো টেয়ার গ্যাস হয়ে অক্ষি খেঁচিয়ে যায় বারেবার,
হায় ! তবুও আমি নিরুপায় নির্বিকার।
এ অঘ্রাণে বাবার সনে,
আমন ধানকাটার ছলে
গড়াগড়ি বিলের কাদা জলে।
পকেট ভর্তি  নিয়েছি কতো ব্যাঙাচি ছানা, দারকিনা ঝাঁক,
শাপলার ডাটা, শালুক, ঢ্যাঁপ,
আর কমলির শাঁক।
স্কুল ফাঁকি দিয়ে বাহাদুরি,
মৃদু হাওয়ায় উড়াতাম পলিথিনের ঘুড়ি।
বরষার জলে বরশি লয়ে চন্ডিদাস,
দিনান্তেও জুটিত না দুটো পুঁটি মাছ।
হাটুজলে কলার ভেলা,
গ্রীষ্মে মার্বেল খেলা।
শীতে গোসলের অনিচ্ছায় মায়ের বকুনি,
বাউন্ডলে ঘুড়তাম ইচ্ছে যখনি।
সময়ের রদবদলে পাল্টে গেছে সবই,
পাল্টে গেছি আমিও দুঃসময়ের হাত ধরে,
মিশে গেছি কালের গহ্বরে।
হায়! নব এ ক্ষণও যায় চলে
স্মৃতির রঙিন পত্র দলে, ফের কোন একদিন ভেজাবে বলে ।


                    
রচনাকালঃ ০৯/০৪/২০১৫ ইং