কখনো কখনো ধসে যায় ভঙ্গিল পর্বতের মতো,
ভাঁজ করা স্বপ্নগুলো।
নিন্দকেরা বলে, গর্দভটা কি ছাঁই লিখে সর্বক্ষণ,
কোন ফল হবেনা, অযথাই সময় খাতা আর কলমের অপচয়,
যতসব মূর্খামি আর বাতুলতা,
এ নাকি লিখবে বনলতা !


আমি নির্বাক হয়ে শ্রবি, আর মুরমুরে ভাঙে বুকের পাঁজর।
আবারও বাঁধি ভেঙে যাওয়া কূল,
যদি পুষ্প ফুটে জীর্ণ দুর্বাঘাসে।
ভাবনারা দল বেঁধে আসে আমায় নিয়ে যেতে
অজানা প্রান্তরে,
আমি থমকে যাই,
যখন ওদের চিঁড়ে খেতে আসে মায়ের চোখের তপ্ত জলোচ্ছ্বাস।
নুন পান্তার সংসার,
দুমুঠো অন্নের তরে হাহাকার।
পিতা পরলোকে গেছেন সেই ছোট্ট বেলায়,
বৃদ্ধা মাতার চোখে অনেক স্বপ্ন,
বেকারত্বের শিঁকলে বাঁধা এই আমি,
প্রতিনিয়ত টেনেই চলেছি,
ছিঁড়বো বলে।
যখন মায়ের স্বপ্ন পূরিতে মজুর খাটি,
তখন ভাবনাগুলো পালিয়ে যায়।
আমি নিতান্তই মূর্খ গবেট,
অনটনের দহনে, বার বার ছাঁই হয় স্বপ্নগুলো,
জানি নজরুল, রবি পারবো না হতে কোনদিন,
তবুও বন্ধু তোমাদের মাঝেই বাঁচতে চাই,
পুড়ে যাওয়া ছাঁইয়ের মাঝে, তবুও স্বপ্ন প্রাসাদ সাজাই।


-সংশোধিত