আজ বুকের ভেতরটায় তীব্র শূন্যতা,
তুমি নেই, কোথাও তুমি নেই।


তুমি নেই,
বংশাই নদীর তীরে,
বটবৃক্ষের তলে,
কলেজ করিডোরে,
কাগজে মোড়ানো ঝালমুড়ি আড্ডায়।


তুমি নেই,
বকুল বেঁধির পাড়ে,
রেল লাইনের ধারে,
বাজে আড্ডায় চায়ের কাপে,
বিএডিসির সবুজ ঘাসে,
সরু পথে,
পুকুর পাড়ে,
দিঘির জলে,
আবেগে জড়ানো বাহুডোরে।


তুমি নেই,
খোলা চুলে বিকেলের রোদ্দুরে,
সাদা কলেজ ড্রেসে,
পড়ার টেবিলে,
বইয়ের পাতায়,
চিঠিতে,
টেলিফোনে,
নৃত্যর মঞ্চে,
নগ্নপায়ে দুর্বাঘাসে,
ভাঙা আয়নায়,
ভার্সিটির চত্বরে,
কমন রুমে,
কিবা এ রুক্ষ হস্তের বন্ধনে,
নিকোটিনে পোড়ানো ঠোঁটে,
তুমি নেই কোমল হৃদপিন্ডে।


তোমাকে এখন খুঁজে পাই দুঃস্বপ্নের নগরে,
ধূসর পান্ডুলিপিতে,
ভিসুবিয়াসের জ্বালামুখে,
মেঘহীন গগণে,
প্রচন্ড রৌদ্রে,
কামারের হাফর তাওয়া জলন্ত কয়লায়,
পোড়া ইটের গন্ধে,
বিরহী কাঁটাবনে,
সৌর কণিকায়,
বিধ্বস্ত ধ্বংসস্তুপে,
প্রতারণার সমুদ্রে,
দুর্গম গিরি শিখরে,
আর অন্যের বাহুডোরে।
সেখানেই হয়তো তুমি সুখি
জরা জীর্ণ এ পানাম নগরে এখন ঈশ্বরও থাকতে চায়না।
তোমাকে এখন ভীষণভাবে পাই
গভীর নীরবতায়।


-সংশোধিত