শেষ গোধূলির ক্লান্ত অবসাদটুকু লুটে, জীবন যেখানে একাকার হয়ে যায়
নিটোল ফেনীল সমুদ্রের মতো।
প্রবাহের ক্ষিপ্রতা ভুলে তুমি আমি একই মাটির ঘরে স্থবির,
তবুও অস্তিত্বের ঘ্রাণহীন যোজন যোজন দূরত্ব দুজনার মাঝে,
যেন অসীম নভোমণ্ডলের খুব কাছের নক্ষত্র হয়েও
আপন বলয় লঙ্ঘিয়ে শেষ চুম্বন এঁকে দেওয়ার প্রয়াস নেই।
তোমার চুলের স্নিগ্ধ পরিমল তখনো বয়ে চলবে তন্বী নদীর মতো কলকলিয়ে
আমার বুকের জমিন বেয়ে,
আমি যেন ফাঁসিকাষ্ঠে দন্ডায়মাণ কয়েদী
হস্ত পদে পূর্বজন্মের শিকল
পঞ্চইন্দ্রীয় গ্রীবাদেশ যমকোটাবৃত,
বরফানলে পুড়ে যাচ্ছে কুৎসিত কায়া
তবুও তার পরশ তৃষ্ণায় তিষিত কণ্ঠনালী।
আমি ঠিক প্রভূর সম্মুখে দাঁড়িয়ে মস্তকনুয়ে পূর্নজন্মের অন্তিমারজ করবো,
সেও যেন আসে মর্তের বুকে কুমারী ছিপছিপে ঝরণা হয়ে,
কোন এক মধ্যবিত্ত মাটির পাহাড় বেয়ে
বিগতকালের তৃষ্ণার্ত কণ্ঠনালী তার প্রেমের ঝিনুক পরশে প্রাণভরে ভিজিয়ে নিবো
ভেঙে যাবে কয়েক কোটি বছরের তৃষিত অমৃতানশন।