সামনে সমুদ্র সবটুকু সৌন্দর্যে দৃশ্যমান  
আরাম কেদারায় চোখ বুজে মগ্ন ঋষির একাগ্রতায়
কবি তার সবটা অনুভব করছিলেন  
এমন সময় কচি কণ্ঠ-  
স্যার, গান শুনবেন গান?        
কোনোমতে নিমীলিত চোখ খুললেন তিনি;   
নিতান্তই কচি এক বালক ছয় কি সাতের  
চোখের কোনে রাজ্যের পিচুটি, মামড়িযুক্ত ঠোঁট,
খড়িওঠা অমসৃণ মুখখানা ভীষণ অকিঞ্চিৎকর;  
ভাগ- বলতে যেয়েও আকুতিভরা টাটকা চোখদুটোর
দিকে তাকিয়ে কোনমতে নিজেকে সামলান কবি
বলেন, প্রতি গানের দাম কত রে?  
সে বলে, দশ টাকা    
কবি বলেন, বেশ তবে গা  


সে গলা খুলতেই সারা গায়ে কাঁটা দেয়,
আহা কতদিন শোনা হয়নি এমন গান!    
যন্ত্রের বাহুল্য অথবা শাস্ত্রীয় ব্যকরণের আগ্রাসন  
কেড়ে নিতে পারেনি মাটির খাঁটি গন্ধটুকু  
গান থেমে যেতেই সম্বিত ফিরে পান কবি-  
বালক প্রস্থানোদ্যত-  
মানি ব্যাগ থেকে একশো টাকার নোট
বের করতে গিয়েও থেমে যায় তার হাত
নাগরিক মন না না করে ওঠে,
টাকা আনা পাইয়ের হিসেবটা চোখে ভাসে    
দু’গানের দাম কুড়ি টাকা চটপট মিটিয়ে
ফের চোখ বুজলেন কবি-      
এই বাজারে ফালতু খরচের কোন মানে হয়?