বাবা মায়ের আদেশ
   এম,এ,সালাম
     ২৭-০২-২১
------------------------------------------
বাবা মায়ের কাছে অতি আদরের ছিলাম
সুন্দর করে নাম রাখেন  আব্দুস  সালাম।
মাঝে মাঝে বলত তুমি সাত রাজারই ধন
ডাকতো আমায় শান্তি বলে খোঁজ নিতো সারাক্ষণ।
ফজরের আযান হলে ডাকতো খোকা ওঠো,
নামাজ শেষে বলতো বাবা কোরান পড়তে ছোটো।
মক্তব হতে আসলে বাবা মাথায় হাত বুলাতো,
বলতো খোকা খেতে চলো আদেশ ছিলো শত।
সব আদেশে ছিলো বাবার আমার সুখের চাওয়া,
হেসে হেসে বলতো বাবা তুই যে পরম পাওয়া।
সব আদেশ ভাল লাগতো না দিতাম তাকে  ধোঁকা
মাঝে মাঝে গালির সুরে বলতো ছেলে বোকা।
তোর ভালোতে আমি ভাল বোঝ না কেন খোকা
আমায় ধোকা দিলে তুই যে হবি একদিন বোকা।
কোনার পড়তে মক্তবে হুজুরের কাছে গেলে
সেদিন বাবা কথা বলতো আনন্দে হেসে খেলে।
মাঝে মাঝে বাবা বলতো তোকে এম এ পাশ করাব
আদর্শ শিক্ষক হয়ে, শিক্ষা দিবি কারিকর বানাবো।
দীর্ঘদিন অসুস্থ্য থেকে হঠাৎ  বাবা গেলেন মারা
ক্লাস সিক্সে পড়ি তখন লেখাপড়া হল ধায় সারা।
তবুও বাবার আদেশ লালন করে চালাই লিখাপড়া
মা আমার নজর রাখিতেন আগের চেয়ে কড়া।
এস এস সির পর বিয়ে করি সংসারের যাত্রা শুরু
মনের ভিতর লেখাপড়ার সাধ করতো দুরুদুরু।
তবুও লেখাপড়ার হাল ছাড়েনি করছি লেখা পড়া
স্নাতকে সন্তান নিয়ে লেখাপড়া প্রায় দায়সারা।
মায়ের আদরে কষ্ট করে কোন মতে লেখাপড়া করি শেষ
শিক্ষক পেশায় যুক্ত হয়ে বাবার আশা করলাম শেষ।
ছাত্র জীবন থেকে কবিতা লিখা এখনো কবিতা লিখি
বড় বড় কবিদের পড়া থেকে কাব্য লিখা শিখি।
মায়ের কথা মেনে চলি নামাজ পড়ি পাঁচ ওয়াক্ত
সমাজ সেবা, কবিতা পড়ায় আছেন অনেক ভক্ত।
হায় বাবার স্মৃতি বুকে নিয়ে নয়ন জলে ভাসি!
স্বপ্নে আজও ভেসে ওঠে সেই বাবার মুখের হাসি।


বিদ্রঃ এলাকায় পরাপর কয়েক জন মানুষ মারা যাওয়ায় মা বাবার স্মরনে আমার কবিতা, ভুল হলে মার্জনীয়।