তোমায় সতত স্মরণ করি-
তুমি যে নবজাগরণের কবি,
তুমি অমিত্রাক্ষর ছন্দে বর্ণে
এঁকেছ কত বাংলার ছবি।
সাহিত্যের মাঝে বিছিয়ে দিয়েছো-
অমূল্য রতন সোনাক্ষরে গেঁথে,
বঙ্গ কথাকে রেখেছো উপরে
সুদুর ভার্সাই নগরী থেকে।
কপোতাক্ষের পানি পান করে তুমি-
সুধা মিঠিয়েছো মায়ের মত,
দেশ প্রেমে তুমি পাগল হয়ে
দেশের মায়ায় কাঁদিয়েছো কত।
কত দেশ বিদেশ ঘুরে দেখেছো-
দেখেছো কত নদ-নদী,
সাগরদাঁড়ির কপোতাক্ষের মত
সুধা মিটাইনি কোন নদী।
মায়ের ভাষার সু-মধুর বাণী
রেখেছো কাব্য সনেট করে-
বাংলা মায়ের আলো বাতাস খেয়ে
তুমি রেখেছো অন্তরে অন্তরে।
সাগরদাঁড়ির ছোট ঘর জুড়ে,
ছড়ায়েছো ভালবাসার বন্ধন,
স্বদেশ প্রেমের নিদর্শন রেখেও
দেখায়েছো নারীর বন্ধন।
সুদিনে দুর্দিনে হওনি তো ভীত-
গেয়েছো সত্যে সুন্দর গীত,
তব সৃষ্টিতে হও নিকো বিমুখ
ধ্বনিত হয়েছে স্বদেশ গীত।
সাহিত্যের ওই মেঘময় আকাশে-
ছড়িয়েছো তারার মেলা,
কাব্য কাননে তোমার ছোঁয়ায়
বসেছে প্রজাপতির মেলা।
রচনাকালঃ- ২৫-০১-১৯ইং
নিজ গৃহ।