এই যে দেখ ছোট্ট নদী-
           ছুটে চলছে জীবন বর,
এই নদীর পাড়েই থাকি আমি
          এই নদীর পাড়েই ঘর।


এই যে দেখ নদীর জল-
     চাঁদ-সূর্যে করছে টলমল,
নীল আকাশের নীচ বাড়ী
     বিদ্যুতে করছে ঝলমল।


এই জলেতে জীবন আমার-
       এই জলেতে বসত করি,
এই নদীর পানিতে মিটাই সুধা
       এই নদীতেই জীবন গড়ি।

প্রতিদিন এই নদীতে কত নৌকা -
      দেখি উজান ভাটি যায়,
বাহারী রঙের পাল তুলে মাঝি
     আপন মনে কত যে গান গায়।


এই নদীটার চরিত্র  খুবই ভালো -
     কত শান্ত যখন পানি,
আষাঢ় মাসে এই নদীটার রূপে
       কাহারো কাড়ে জীবন খানি।


এই নদীতে হারিয়ে গেছে -
      সবই, জান দেশের গুনিজন,
এই নদীটি আমার ভরসা ছিল
        আমার স্বপ্নীল জীবন মান।


এই নদীর বানে কেড়ে নিচ্ছে-
     আমার মামীর জীবনখানী,
মাঝে মাঝে এই নদীটি রূপ
    কতো  নির্দয়,নিষ্ঠুর আমি জানি।
      
এই নদীতে জীবন ব্যাপীয়া -
    করছি কতো লুকোচুরি খেলা,
এই নদীতে  ছিষাট্টির বন্যায়
      কত ভাসছে লাশের  মেলা?


এই নদীতে হারিয়ে গেছে -
           নলীর ছোট্ট আমার গাঁ,
স্বজন হারা কান্নার স্মৃতি
        আমার প্রান যে মানে না।


কত কাজের শেষে অবশেষে?
     দুপুর বেলা গা গোসলে এসে,
স্রোতের তোড়ে ভাটার টানে
     আসমান খা,রে নেয় ভেসে।


একদিন ছোট্টবেলা এই নদীটায় -
     গিয়েছিলাম ইলিশ মাছ খাইতে,
ইলিশের ডিম খাইয়া আমি
     হাগু করেছিলাম নায়ের গলুইতে।


এই নদীর পানি স্বচ্ছ জানি-
      জাতের মেয়ের মত,
নদীর জল ঘোলাও ভাল
     মরা জীব থাকেও যদি তত।


এই নদীটা রাগ করিয়া কখনো-
     আমাদের ডুবিয়ে মারে না,
অসময়ে আবার রাগ করিলে
     মা বাপ কাউকে ছাড়ে না।


নদীটা সেই বছর কেড়ে নিলো -
      মা-বাবার মনের সুখ,
রবিশস্য বানে ভাসিয়ে নিলো
      চাষীরা পেলো কত দুঃখ।


যদি আমায় সবাই প্রশ্ন করো?
    বল,কোন সে গ্রাসী নদী?
বলি, বিশখালী  তাহার নাম
     এপাড় ওপাড় ভাঙে নিরবধি।


ভালোবাসা, আর হাসি-কান্নায়-
  চাকুরী আমার সকল কাম,
এই নদীটা ছোট হইলেও
  আছে দেশ মাতৃকায় তার নাম।


স্থানঃ- বিশখালীর তীরে
              আমার নিবাস
      তাং- ০২-০৩-১৯