নব্বই বছরাইয়া ববু আমার-
    যাইবে বাপের বাড়ী,
দাদুর লগে গতকাইল কে
    দেছে এ্যাকছের আড়ি।


কাপুরের গাট্টি মোড়াইয়া লইছে-
      জালি ব্যাগের মধ্যে,
পানের ঠোংগা লইছে বোলে
     চুন, সুবারি-হাদা শুদ্দে।


ববু বলে ওরে দাদু মোরে একটু-
     দিবি তুই আউগাইয়া,
দোহান থেকে লজেন খায়ামু
    তুই খাবি যেউজ্ঞা যেউজ্ঞা।


যে নাতিডায় নেতে আইছে-
     বয়স অইবে ছয়,
একটু হাডার পড়ে বলে
     ববু  আমার কোলে আয়।


হেইডার সাহস দেইক্কা মুই-
    বিরমি খাইয়া পড়ি,
দিশা না পাইয়া ববু আমার
    হাত ধইররা উডায় তাড়াতাড়ি।


কোনে মতে আউজ্ঞা দেই-
     হাজি মারার ঠোডায়,
অর্ধেক পোত অইছে বোলে
    ইসাবে আলায়-টোডায়।


বুরা বয়সে বুবু আমায়-
     বাপের  লইগগা যায় মইররা,
দাদু কয় ওরে একটু
    দাদু আনতে পার ধইররা।


মুই এ্যাহন পারমু না দাদু-
         গেছে অনেক দূরে,
তোমারেও নাহি যাইতে কইছে
      তোমার বুড়া হাউরি হউরে।


কয়ডা হবরি পাকছে গাছে-
       খারাও মুই পাইরা আনি,
ববুরে কয়ডা দিয়া দিমু আনে
    হ্যার বাপের লইজ্ঞা নেবে আনে।


রুডি পিডা আর গরুর গোস্ত-
    দাদু খাওয়াবে তোমার হাউরি,
মোরে দেবে বলে নাহইলের হুররা,
     হোনছো মাত্র কয়েক উর্হি।


মুই ছোড বুইল্লা গোস্ত দেবেনা-
       যদি গলায় বাজে,
আসলেও তোমার হাউরি দেখচি
     মানুষ হিসাবে বাজে।


রচনার কালঃ- ২৭-০৭-১৮
  বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় লিখা,
    ফান কবিতা।