বুদ্ধিজীবীদের আর্তনাদ
    এম,এ,সালাম
    ১৪-১২-২১
=========================
কি যে বেদনায় ভরা লোমহর্ষক কি যে জঘন্যতম
দিনটি ছিল ১৪ ডিসেম্বর বাংলার জনগন জানো।
বাংলার জমিনে হয়েছিল সেদিন রক্তের হলিখেলা
কত সুধীজন জীবন দিল সেই দিনের সেই বেলা?
শহীদের মধ্যে বেশী ছিল বাংলার ৯৯১ জন শিক্ষাবিদ
যারা নৃশংসভাবে হত্যা করেছিলো তাদের জানাই ধিক।
একেক করে চোখ বেঁধে তাদের নির্মমভাবে হত্যা করে
পাষণ্ড পাকিস্তান ঘরথেকে তাদের কৌশল করে ধরে।
কত আকুতি মিনতি বুকফাটা আর্তনাদ করেছিল ওরা
বাংলার আকাশ বাতাস কেঁদেছিল মানেনি পাষন্ডেরা।
চরম পৈশাচিকভাবে নির্যাতন করে হত্যাকান্ড চালায়
বাংলার সূর্য সন্তানদের ঘরবাড়ি নির্মমভাবে জ্বালায়।
বাঙালী জাতিকে মেধা শূন্য করা ওদের মেধায় ছিল
কত কবি সাহিত্যক, শিক্ষাবিদের প্রাণ কেড়েনিয়েছিল।
আহারে কেমনে ভুলি রায়ের বাজারে হত্যার হলিখেলা
আলসামস-বদর রাজাকার বাহিনী করেছিল কত খেলা।
বাঁধা নিথর দেহগুলি ভেসেছিল সেদিন বধ্যভূমির পানিতে
হত্যাকান্ড বিকলাঙ্গ,বুক ঝাঝড়া মীরজাফরের গুলিতে।
ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীন সংগ্রাম ক্ষনে
বীর বাঙালী,নতুন  প্রজন্ম  এই ইতিহাস  কেমনে ভুলে।
আজও ভেসে আসে ১৪ই  ডিঃ হত্যাকাণ্ডের  আর্তনাদ
বীর বাঙালির মধ্য বিরাজ করছে পাক-দস্যুর বেজাত।
অঙ্গীকার করবো এই দিবসে মোরা বীর বাঙালী জাতি
শরীরে একবিন্দু রক্ত থাকতে অসম্মান করবো না এক রতি।