ছোট্ট হালে দেখতাম দাদায়-
      ঝাঁহি জাল বড় খালে বাইত,
শলাচিংসড়ি আর কোরাল মাছ,
        ঝোলা, টোহর বইড়া আনত।


ভাডার সোময় জাল খেয়াইত-
    মাঝে মধ্যে বাঁশ দিতাম টান,
প্রত্যেক টানে পাইতাম কত,
    কোলার বাইং হউল চেং।


  ভাটার সোময় পাশের খালটি-
         এমন ভাবে হুগাইয়া যাইত,
এ পাড় হইতে ওই পারেতে,
     এককালে  হাটিয়া যাওয়া যেত।


খুব হয়ালে ঘুম হইতে উঠে-
       কাঁন্ধে জাল বাঁশ খুঁডা লইয়া,
খালের পাড়ে ভাডার জন্য,
      থাকতাম এককালে বইয়া।


খাল যহন মনের মতন-
       এককালে হুগাইয়া যেত,
দাদায় আমার ঝাঁকিতে খেও,
        একটার লগে  একটা দিত।


খারৌই ভইরা অনেক মাছ-
     মোরা বাড়ীতে নিয়ে আসতাম,
মাছ দেইক্কায় মায় মোরা
         কত যে খুশী হইতাম।


মাকে বলিতাম ও বড় মা-
      আইজ তেলে উল্ডাইয়া ভাজ,
কাইল সকালে পান্তা ভাতে,
      জম্মের খাওয়া খাবো।


হেই সিরিতি আইজ ও আমি-
      ক্যাম্মে  জানি ভুইলতে পারিনা,
মাছের ওভাবে পুরাণো কতা
            মনে ওডে, মনে আছে যা।