গ্রীষ্মের কুয়াশা
    এম,এ,সালাম
         ১০-০৫-২০


গত রাতে গ্রীষ্মের কুয়াশায় ছেঁয়েছে আকাশ
কোথাও কোন ছিল না যে দখিনের বাতাস।
কুয়াশায় ঢেকে গেছে চাঁদ তারার আলো
ধরণীর চেহারা দেখে মন লাগে না ভাল।
গাঁয়ের দিকে চেয়ে দেখি কুয়াশায় ঢাকা
কুয়াশা ছাড়া কোন জায়গা নেইরে কিন্তু ফাঁকা।
থমকে গেছে সকল প্রাণী নির্জিব প্রায়
অনুভব করি যে দিকেই দৃষ্টি ঘুরায়।
মাঠের দিকে চেয়ে দেখি বিশাল এক নদী
সাতার দিতে পারিতাম এই নদীতে যদি।
হাবুডুবু খেতে আছি কুয়াশার ভিতর
বায়ন বাদশা কাঁদিতেছি নীরে বিরহে ভিতর।
সকাল বেলা পা ভিজেছে শিশিরের পানিতে
হঠাৎ করে এমন অবস্থা কে পারে জানিতে।
সকাল ন'টা পর্যন্ত স্থায়ী হয় গ্রীষ্মের কুয়াশা
খুব সকালে ঝলমলে আলো কৃষকের ভরসা।
মুগ তুলিতে মাঠে যেতে  কুয়াশায় বাঁধে বিঘ্ন
সকালের আলো এমন দেখায় মনে হয় যেন রুগ্ন।
ধরণীর চেহারা পরিবর্তন কেন কুয়াশার দ্বারা?
এই মূহুর্তে ভেবে দেখছেন পরিবেশবিদ যারা।


বিদ্রঃ ০৯-০৫-২০ ইং তাং রাতে প্রচন্ড কুয়াশা পরায় আমার এই কাব্য।