উত্তাল তরঙ্গে ঢেউ খেলে যায়-
রঙিন গাঙ্গের মন মাঝে,
তটেনির বুকে জলরাশি গুলো,
উথলে উঠে হারানো গাঙ্গে।
নদী বলেছিল আমার বুকে সাহস নিয়ে-
কত রঙিন নৌকা বেয়ে গেলি,
রাগ করিয়া কাহাকেও আমি,
দরিয়ার লোনা পানি খাওয়াই নি।
তবু কেন এত বিদ্বেষ আমাকে নিয়ে-
চিন্তা করে দেখেছো কি?
আমি যে তোর শুভ কামনা ই করেছি,
কত লাঞ্চনা দিবি,দিয়েছি যা বলেছি।
কাহারো কষ্ট আমা হতে হোক-
কখোনো এ আশা মোর ছিলনা,
তারপরও গেয়ে গেলি,দিয়ে গেলি,
আমার তরে কত লাঞ্চনা আর বঞ্চনা।
কষ্ট যে সহিতে পারে,বহিতে পড়ে-
তারে দিয়ে যা,তারে দিয়ে যা,
যে সাধরে গ্রহন করে নিবে,
হাসিমুখে অনায়াসে তারে দিয়ে যা।
এমন যেন হয়নারে যেন ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে
যায়-
কাঠের আগুনে তুষের অনলে,
অনাবরত দগ্ধ হয়ে জ্বলতে থাকে,
শুধু পুড়ে যায় শুধু পুড়ে যায়।
বহমান দরিয়ায়,ঢেউয়ের তালে-
ভাসাইয়া দিয়ে মন তরী,
গন্তব্য তোর কোন পথে যাবি,
মাঝি মাল্লার নেইরে হদিস।
এ যাত্রা মোর বৃথা হতে দিব না-
সাজানো নৌকায় যাত্রী নিয়ে,
যথা ইচ্ছা তথায় যাব এ আশায়,
দক্ষিনা বাতাসে পালতুলে।
আশার বন্দরে ভীরবে তরী-
ওহে মনোগাঙের মাঝি,
হতাশার কোন কারণ নেইরে,
ওই দেখা যায় পূর্বগগনে আশার দীপ্ত শিখা,
নোঙর কর ওই বন্দরে,
মিটাও মনের আশা।