জীবন নিয়ে হলিখেলা
    এম,এ সালাম
     ১৫-০৮-২০


হে নিষ্ঠুর আগস্ট তোমাকে আজ
    বাঙ্গালীরা ঘৃনা ভরে স্মরন করে,
এসেছিলে পচাঁত্তরে বিষধর সর্প হয়ে
   তুমি ফনা তুলে ধ্বংস করেছো
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালীকে।


হে নিষ্ঠুর আগস্ট তুমি হার মানিয়েছো
     আফ্রিকার  ক্ষুধার্ত হায়নোকে
তুমি হুংকার দিয়ে ডুকে পড়েছো,
      বঙ্গ বন্ধুর বত্রিশ নং ধানমণ্ডিতে।


হে ঘাতকের দল করুনা কাকে বলে?
জাননা তুমি, শেখনি কোন দিন,
সেদিন তোদের থাবায় ঝড়ে পড়েছিল,
  ষোলটি গোলাপের তাজা পাপড়ি।


হে নিষ্ঠুর আগস্ট সেদিন ঘাতকেরা
     হুংকার দিয়ে ক্ষুধার্ত ব্যঘ্রের মত,
ঝাঁপিয়ে পড়ে মহিয়সী নারী মুজিবের,
    সহধর্মীনি ফজিলাতুন্নেছার উপর।


সেদিন কেঁদে কেঁদে বুক ভাসিয়ে দিল
    গর্ভধারিনী মায়েরাও রাসেলের জন্য,
আকাশ বাতাস কাঁদে কান্নার সমসুরে
   তবুও ঘাতকের মন একটুকু টলেনি
গুলি করেছিল ওরা শিশু রাসেলের উপর,
    হামাগুড়ি দিয়ে নেতিয়ে পড়ে মেঝেতে।


সেদিন ঘাতকেরা সামনে যাকেই পায়
    তাকে গুলি করে পাখীর মত,
ষোলটি নিষ্পাপ তাজা প্রান কেড়ে নিল
    ঝড়ে পড়ে শাখের বৃন্ত হতে।


আহা! সেদিন রাইফেলের গুলিতে
     রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল পুরো বাড়ীটি,
এখনো চোঁখের সামনে ভেসে উঠে
    সেই রক্তাক্ত হলি খেলার কাহিনী।


সেদিন বন্ধুভাবা মানুষগুলি আপসোসে
     চোঁখ মন অন্তর দিয়ে কেঁদেছিল,
ক্ষত-বিক্ষত দেহগুলো হায়নারা খেয়েছিল
     ক্ষুধাতুর মানুষ খেকো রাক্ষসের মত।


সেই রাতে বাড়িতে যাকেই পায় তাকেই মারে
ওই নিষ্ঠুর, হৃদয় হীনা রাইফেলের গুলিতে
আহারে রক্ত গড়িয়ে পরছে মেজ হতেসিড়িতে।
                                            
পাষন্ড ঘাতকের মৃত্যুর লিলা খেলা দেখে
কাঁদছে ধানমন্ডীর আকাশ বাতাস,
ওদের নখের থাবায় রেহাই পায় নি,বেবী
                               সেরনিয়াবাদ
সুকান্ত, ফজলুল হক মনি সহ অন্তঃসত্ত্বা আরজু
                                        মনি।


সেদিন বঙ্গ বন্ধুর রক্তাক্ত দেহ দেখে
  কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন শুভাকাংখীরা,
হু-হু করে কাঁদে আর মন থেকে বলে
    তোদের কি মৃত্যু নেই?
তোরা কি মরবি না,তোদের লইবেনা
      এই সোনার বাংলার মাটিতে,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বাধীন বাংলার ঘাটিতে।