জগতের যেখানেই যাই দেখি কত?
মৃত মানুষের কবর আর কবর,
হয়তঃ খোদাই করা নয়তঃটাইলসে
নাম লিখা নানা কারুকাজে।
কোন কবরই কথা বলে না যে-
তবুও নিঃশ্বাস পথিকের অন্তরে,
হাপ ছেড়ে দু'ফোটা অশ্রু ঝড়া
কবর কাঁদেনা জীবিতরা কাঁদে।
কবিরা মরেও অমর হয়ে থাকে-
তাদের গুনান্বিত লেখার দ্বারা,
তাদের কৃতকর্ম মানুষের মনকে
সদা সর্বদা স্মরণ করিয়ে দেয়।
যুগ যুগ ধরে তাদের মেধার স্ফুরণ-
বিদ্যূতের মত চমকাইতেছে,
দিনের পর দিন উপমাগুলো স্পষ্ট
তাদের মেধার উপর কত কবি।
কত কবির মৃত হয়েছে, আর আসেনা-
কবিতার বীজ বুনে গেছে মাঠে,
আর সেখান থেকেই পাকা ফল
খেয়ে খেয়ে কাব্যের প্রাণদান।
কবি নেই, কবিতা আছে যাহা-
জগতের জ্বলন্ত প্রদীপ শিখা,
সেখান থেকে কুড়িয়ে পাওয়া
ফুলের স্বাদ শোষন করতেছি।
কবিরা চলে যায় তাই বলে কি?
সংকটে আছে কাব্যের চাকা,
মোটেও না,সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে
আধুনিকায়ন সব কাব্য রস।