কত কষ্টের প্রবাস জীবন
     এম,এ,সালাম
      ১৪-০১-২১
---------------------------------------------
সুখী জীবন গড়ার  আশে অনেক বন্ধু হয় দেশান্তরী,
গৃহে থাকে বাবা,মা,আর নিজ সুন্দরী নারী।
দেশান্তরী হওয়ার কারণ  কর্মসংস্থানের অভাব থাকলেও কিছু দেখি না ভাল করার মনোভাব। শেষ সম্বল যা কিছু আছে বিক্রী করে ভিটা বাড়ি
ধারদেনায় জর্জরিত হয়ে দেয় বিদেশ পাড়ি।
শতচেষ্টায় কষ্টে কারো তরী পৌঁছে যায় পাড়ে
মানুষ মারার কলে পরে ঠাঁই হয় কারাগারে।
কেহর আবার অবস্থা ছেড়ে দে মা কেঁদে মরি
মান ইজ্জত থাকতে দেশে অল্পতে কেটে পড়ি।
প্রবাসী মহিলাদের উপর হয় ধর্ষন নির্যাতন
সব ব্যাখ্যা করলে সকলের ভেঙ্গে যাবে মন।
কর্মশেষে ক্লান্ত হয়ে ওরা রাত্রে ফিরে বাসায়
কোন রকমে নিজের রান্না নিজেই করে খায়।
প্রতিদিনই ডাউল আর থেতলা আলুভর্তা জোটে
যাহা কিছু আন্দাজ করলাম মিথ্যা হয় না মোটে।
কেহর মাঝে মাঝে ভাগ্যে জোটে  একটা পাউরুটি
দেশে পিতামাতা স্ত্রী সন্তান খায় যে মোটামুটি।
স্ত্রীর মনের ব্যাথা আর বোনের বিয়ে থাকে মাথায়
ছোট ভাইয়ের পড়ার কথা থাকে নোট খাতায়।
বাড়িতে  যদি থাকে সুন্দরী বউ নব-যৌবনা
মনের কষ্ট চাপিয়ে বুকে তারা থাকে অন্যমনা।
বিয়ে দেওয়া মেয়ে কি বাবার বাড়ি থাকতে চায়?
আহা! স্বামীর ঘরে সঙ্গ ছাড়া  কেমনে দিন কাটায়?
দেবর ভাইবন্ধু আত্মীয়ের সাথে কথা বললে হেসে,
সন্দেহের তীর লেগে যায়,ফেলেছে ভালোবেসে।
আবার বউয়ের জন্য লাগায় অনেকে গোয়েন্দা
বউ বলে অবিশ্বাসীদের আমি করি তীব্র ঘৃণা।
মিথ্যা নয়'রে অনেকে পরকীয়ায় যায় জড়িয়ে
এ কথা আমি যে যেতে পারি না মুখে মাড়িয়ে।
দৈহিক শ্রেমের টাকা হতে সরকার পায় রেমিট্যান্স
এটাই এখন এই সরকারের আয়ের বড় চ্যালেঞ্জ।
কিছু টাকা আসলেই আত্মীয়স্বজন চায় ধার
ঋণে জর্জরিত সে চিন্তা করে না যে তারা আর।
টাকা না দিলে সবাই করে তাদের প্রতি ঈর্ষা
মুখের উপর মেঘ জমে যায়, নামবে বুঝি বর্ষা।
বিভিন্ন অজুহাতে আসে না দাওয়াত অনুষ্ঠানে
হিংসা-বিদ্বেশ এই বাঙ্গালীরা ভালো কিন্তু জানে।
মা-বাবার মৃত্যু হলে আসে না রাগে অনেক বন্ধু
অন্তরে জমিয়ে রাখে তারা কষ্ট দুঃখের সিন্ধু।
আসতে পারে না  নিজ মেয়ে ও বোনের বিয়ে,
টাকার পিছনে ছুটে বেড়ায়  শত কষ্ট  নিয়ে।
জ্ঞানীর ভাষায় এ জীবন কিন্তু ফুলসজ্জা নয়
ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করে জীবন বাঁচাতে হয়।