কত পাষান্ড, নিষ্ঠুর হুদা ও নুর!
         তোদের হৃদয় লোহায় গড়া,
জাতির পিতাকে খুন করিতে
         হৃদয় নড়িল না করা।


যার বদোলাতে ক্ষমতা পাইয়া-
    তারেই তোরা বদ করিলি,
কাহার বুদ্ধিতে  নর পশু হইয়া
    হায়নার মত তেড়ে আসিলি।


ঘাতক বাহিনী ভিতরে ডুকিয়া-
     যারে পায় তারে মারে,
স্টেনগান দিয়া বুকের উপর
     একের পর এক গুলি করে।


দোতালা হতে বঙ্গবন্ধুকে ধরে-
মহিউদ্দিন নিয়ে যায় সিড়ির মাঝে,
মেজর নুর কি যেন বলিলে
  মেজর  মহিউদ্দিন সরে যায় দূরে।


নুর, বজলুল হুদা শার্টারগান দিয়ে-    গুলি করে জাতির পিতার বুকে,
হুমরি খেয়ে পড়ে যায় সিড়িতে
গড়িয়ে পড়ে সিড়ি হতে নিচে।


আহারে ফিনকি দিয়ে রক্ত পড়ে-
     ঝাঝড়া হয়ে গেল বুকটা,
এমন সময় নীল আকাশ হতে
      রক্ত বৃষ্টি বহাল কাল মেঘটা।


সিড়িতে রকের দাগ এখনো আছে-
    জাতির পিতার রক্তের স্মৃতি,
বাংলার মানুষ ইহা কখনো ভুলিবে না
     ভুলিবে না স্বাধীনতার ফলশ্রুতি।
        
সুলতানা কামাল, রোজি জামালের
    উদ্ব্যার মেহেদী মুছে গেল,
বঙ্গমাতা শেখ মুজিবের সহধর্মিনী
     দেহ ফ্লোরে লুটিয়ে পরল।


মা-মা বলে চিৎকার দিল ওই-
     আদরের ছোট্ট  শিশু রাসেল,
কোন অনুনয় না শুনে ওরা,
      করিল তারে বূলেটে গায়েল।


সেদিন আকাশ বাতাস ধ্বনীতেছিল-
  ষোল গোলাপ ঝড়ে পরার কাহিনী,
শোকের মাতাম আজও বহে যায়
   ব্যাথার ছাপে হৃদয় ভরেছে জানি।