মন চোরা তুই চুরি করেছ-
   আমার অবুঝ মন,
তোরে আসামী করে মামলা দিয়েছি,
   মনের কোর্টে শোন।
দক্ষ চোরা চুরি করতে এসে-
   মন নিয়েছে চুরি করে,
সিঁধ কাটিয়া উঠলে কিভাবে,
   অচেনা,অজানা এই ঘরে।
চোরার সাহস দেখিয়া আশ্চার্য্য হই-
    চোরার সাহস কত বুকে,
চুরি করে আবার ফিরে ফিরে চায়,
     আবেগ ভরা চোঁখে।
সন্দেহ করিয়া মামলা দিয়েছি-
      তোর বিরুদ্ধে মনের আদালতে,
আসামী শুধু মামলায় একজন,
      স্বাক্ষী আছে শত-শতে।
এই মামলার তদবীর নেইরে-
     খালাসের চেষ্টা করবে কে?
তদবীর করিতে যে আসিবে,
      ধরা পড়িয়া যাবে সে।
এই আদালতের কোর্ট বসে-
     প্রতি অপরাহ্নের বেলা,
বাদী বিবাদী হাজিরা দিলেই,
   হয়ে যায় মহা মিলন মেলা।
গ্রেফতারে কোন হ্যান্ডকাপ নেই-
     আছে কিছু সন্ধি চুক্তি,
সন্ধি পত্রে স্বাক্ষর দিলেই,
     আদালত হতে পাবে মুক্তি।
হাজিরা দিলেই ধরা পড়ে যাবে-
     মনের পুলিশের কাছে,
বেত দিয়ে প্রহর করে না,
     বসায় তাহার পাশে।
চোরা আর বাদী এক হইয়া-
     মনের কোর্টে গিয়ে,
হাজিরা দিয়েই প্রমান করবে,
    আমরা দু'জনে গিয়েছি মিলে।
মন চোরার বিচার হল-
     মনের সাথে মন মিলে,
এই চোরা যে খালাস পেল,
     শুধু মনের আদালতে।