নববর্ষের  অশুভ স্ফুরণ
          এম এ সালাম
          ১৪/০৪/১৮


হে নব বর্ষ তুমি ত আস-
        ফি বছরের ন্যায় বাংলায়,
তোমার স্বাদ নিতে পারে,
বাংলার মাটিতে আছে কয়জনায়।


তুমিত আস নব-নব সাজে-
    সুখ দুঃখের নানা বার্তা নিয়ে,
বন্ধুর সাথে বান্ধবীর নাকি,
         হয় পহেলা বৈশাখে বিয়ে।


বড় লোকে খায় পান্তার সাথে-
        পদ্মার রুপালী ইলিশ মাছ,
গরীবেরা খায় বরাবরের মত,
    পোড়া মরিচ  আর পান্তা ভাত।


পহেলা বৈশাখ মেলা বসে-
         শত শত হাজারো স্থানে,
বাংলার বড় মেলা বসে নাকি,
      সেই রমনার বটমূলে।


শহরের মানুষ ভাবে পহেলা বৈশাখে-
    পান্তা ইলিশ না খেলে,
সারা বছরের ভাগ্য নাকি,
       যাইবে কষ্ট আর বিফলে।


বাংলার আনাছে-কানাছে মেলা বসে-
       বৈশাখের বরাত দিয়ে,
মেলার নামে জুয়াবাজি চলে,
যাত্রা নাটকের মঞ্চ বসে তার পাশে।


বৈশাখী মেলায় পুরুষের চেয়ে-
           নারীর গমোনাগমন বেশী,
মেলার বরাত দিয়ে পন্য কিনে,
  কেনার প্রতিযোগীতা করে বেশী।


কেহ পন্য কিনে বন্ধুর জন্য-
       কেহ কিনে প্রেমিকের জন্য,
কেহ কিনে পরমা স্ত্রীর জন্য
     কিনে, নিজেকে ভাবে মহাধন্য।


মেলার নামে আড্ডাবাজি চলে-
    কত বেহায়াপনা চোঁখে দেখি,
মেলার নামে মাদকের নেশা,
       মত্ত থাকে যে কত বেশী।


কত প্রেমিক-প্রেমিকা মেলার নামে-
     অভিবাবকের অনুমতি নিয়ে,
গোপনে গোপনে প্রেম ভালবাসায়,
   বিলায় যার যার পছন্দ নিয়ে।


পহেলা বৈশাখে ব্যবসায়ীরা-
       উৎসব করে শুভ হালখাতার,
লক্ষী ক্রেতারা মিষ্টি খেয়ে,
   নাম লিখায় নব হালের খাতায়।


বৈশাখের নামে কত নেতারা-
  চাঁদা বাজি আর ধান্ধাবাজি করে,
সুযোগ নিয়ে কত গুন্ডারা,
        দু'আঙুলে পকেট মারে।


মেলার নামে,আনন্দের নামে-
           খারাপ কাজ বেশী হয়,
সরকার একটু দৃষ্টি দিলে,
          কোটি-কোটি টাকা বেঁচে যায়।

  রচনার সময়কালঃ ২৫ শা চৈত্র ১৪২৩ বঙ্গাব্দ বিকাল ৪.৩০