পরের ঘরের জ্বালা(১৭৭৪)
এম,এ,সালাম (সুর ও ছন্দের কবি)
১১-০৫-২২
**************************
বাবার পছন্দে উদ্বাহ হলো,অচেনা ছেলের সাথে
বিয়ের পরে স্বামীর ঘরে থাকতে চায় দুধে-ভাতে।
প্রেম ভালোবাসা কমতি নেই স্বামী বউয়ের সাথে
সংসারের ভার বোজাটি শুধু থাকে স্বামীর মাথে।
শ্বশুর,শাশুড়ী,ননদ,দেবর,ভাসুর পরিবারের লোক
পরের ঘরের মেয়ের কথায় কেউ পায় না যেন শোক।
স্বামীর ঘরকন্নার কাজ করা যে একটু ধৈর্যের ব্যাপার
বধু সবার সাথে মিলেমিশে ত্যাগি মন নিয়ে থাকার।
ঘরের জ্বালা বাইরের জ্বালা কামড়েই থাকিতে হবে
নিজের মত সব ভাবিলে কেউ সরাতে পারবে না তবে।
ভাল আচারণ সবার সাথে নচেৎ গুনহীনে অকদর
একঘরে হয়ে থাকতে হবে যেমন সাথীহারা বন বাদর।
ঘুমাতে হবে সবার শেষে রাতের খাবার দাবার সেরে
সবার আগে জাগতে হবে রাতের বাসন কোসন ঝেরে।
চা-টা সকালের নাস্তা তৈরি করাও কিন্তু বউয়ের কাজ
এমনি ভাবে কষ্ট জ্বালা সহ্য করে টিকো সবার মাঝ।
মাঝে মাঝে দেবর ভাসুর কত লাঞ্চনা বঞ্চনার কথা বলে
এই তিক্ততা সহ্য করে কেমনে পরের ঘরের মেয়ে চলে।
তার পরও ছাড়তে চায় না, স্বামীর সাজানো সংসার
নানা নাটকের অভিনয় করে মন ভেঙ্গে করে চুরমার।
পরিশেষে বঞ্চনার বোঝা মাথায় নিয়ে ছাড়ে স্বামীর ঘর
পরের মেয়ে আপন না হয়ে পর হয়েই থাকে জীবনভর।