সাত সালের পনেরই নভেম্বর-
রাত নয় টার কালে,
প্রলয়কারী ঘুর্ণিঝড় সিডর
বঙ্গপোসাগরের কুলে।
আঘাত হানে ষোলটি জেলায়-
বেরীবাধ উপছিয়ে পড়ে পানি,
গাছ-গাছালি উপছিয়ে পড়ে
বাড়ীঘর ভেসে নিয়েছে জানি।
মনে পরে সেই,রাত্রের কথা
আমার মনের মাঝে,
গবাদি পশু আর মানুষের মৃত্যু
আমার কানে বাজে|
সাড়া পরে যায়,আকাশে বাতাসে
মায়ের কান্নার আহাজারি,
মৃত মানষের সারি সারি লাশে
রাখতে পারিনি চোঁখের পানি।
এত্ত নিষ্ঠুর হল সাগরের পানি-
আক্রোসে স্থলে ছুটে আসে,
আশ্রায় নিতে গিয়ে মামানিকে
নিয়েছে ঢেউয়ে ভাসিয়ে।
তাকে সারাদিন খুজে সন্ধায় পাই-
অপার গাঁয়ের পুকুরে গাছে নিচে,
নীলাম্বরী শাড়ীর আঁচল ঢেউয়ে
পানির স্রোতে ভেসে আসে।
সারি সারি গাছ পড়েছে রাস্তার মাঝ-
উড়িয়ে নিয়েছে ঘরবাড়ী,
মা,বাবা,সন্তান, আদরের ভাইবোন
স্বামীহারা হয়ে বিধবা হয়েছে কত নারী।
মারা গিয়েছে সারেতিন হাজার লোক-
গিয়েছে মারা গবাদি পশু,
ফসলের ক্ষতি কত অবর্ননীয়
মারা গিয়েছে পাশের গাঁয়ের হাসু।
সংক্ষেপ্তিতঃ-
মামানির স্মরণে আমার এই কবিতা উৎসর্গ।