চারিদিকে ঘন কালো মেঘে আচ্ছাদিত-
ছেয়ে যাচ্ছে নীল আকাশ টা,
অন্ধকারে ঢেকে যাচ্ছে ধরনীর,
আলোকিত রঙ মঞ্চটি।
ধোঁয়াটে গাঁয়ের শেষ প্রান্তে ধুঁ ধুঁ করে-
নিজেকে আবৃতি করে রাখছে,
অসীমের সীমাহীন মেঘমালয়,
একাকী হয়ে গেলামএই ধরায়।
পেঁজা পেঁজা মেঘের ধোঁয়াটে-
কুন্ডলীটা ঘুরছে সমীরণে সমীরণে,
হত বিহব্বল হয়ে পড়ছে সবাই,
দিশেহার সমগ্র প্রানীকুল।
নিঃসঙ্গ পৃথিবীটা মেঘের বেলায় চড়ে-
হাবু-ডুবু খাচ্ছে,হচ্ছে দিশেহারা,
অঁজিঞ্চু উকি দিয়ে দেখছে ফাকে ফাকে,
অম্ভোধি উত্তাল তরঙ্গ মেলায়।
শৈবালিনী,নদী-নালা,খালবিল,পুকুর-
জলাধারে একাকারে উপছে পড়ে,
কদম কলির সাদা পাপড়িগুলো,
চতুরদিকে ফুটান্ত কুসুম মঁজরিত।
জনস্রোত কর্দমাক্ত স্যাতসেতে-
আতপত্র সংগে নিয়ে হাটতে হয়,
কোনসম দরকারি হয় ছত্রটি,
ঊদকে তলিয়ে যেতে পারে পাদুকা।
হয় যদি সম্মুখ পথ জলোমক্ত-
দূর্ভোগের সীমাহীন যন্ত্রনা নিয়ে,
ধুঁকে ধুঁকে মরছে পথিকেরা পথে,
ঝড়ছে বারিবর্ষন অঝোড় ধারায়।
রাতের অখিল পানে তাকাতেই-
দৃষ্টিপাত অমৃতাংশু ধেয়ার আবরণে,
আচ্ছাদিত জগদ্বাসী আলোহীনে ভুগছে,
জগত কুল সৃষ্টির রহস্য খুজচ্ছে।