বাংলা মায়ের মাঠে ঘাটে হাজার রুপের মেলা,
চলে সেথায় সারা বছর লক্ষ পাখির খেলা।


বাংলা মায়ের নদীর বুকে উড়িয়ে নৌকার পাল,
গান গেয়ে যায় মাঝি মাল্লা কন্ঠে তুলে তাল।


বাংলা মায়ের ষড় ঋতু সাজে নতুন সাজে,
নানান রকম সুখের বার্তা শুধায় মোদের মাঝে।


গাছের ডালে ময়না ককিল সুরের তালে ডাকে,
বেদে নৌকার পাল দেখা যায় নদ নদীর বাঁকে।


ফলে ফুলে ভরে যায় বাগ-বাগিচার গাছ,
খালে-বিলে পুকুর জলে হরেক রকম মাছ।


বাংলা মায়ের কৃষক মজুর শ্রম দিয়ে যায় মাঠে,
গ্রাম গঞ্জের সোনামণিরা ব্যস্ত সবাই পাঠে।


বাংলা মায়ের পাহাড় পর্বত ঘেরা সবুজ ছাঁয়ায়,
প্রাণ প্রকৃতি উভয় যেন বাঁধা প্রেমের মায়ায়।


মেঠো পথের দুই পাশেতে শত ফসলের চাষ,
দেখে সেই রুপের বাহার কাঁটে বারো মাস।


তোমার রুপের প্রেম মায়ায় মোরা তরুণ প্রাণ,
বিশ্বের বুকে ছড়িয়ে দিবো তোমার সুরভি ঘ্রাণ।


ত্রিশ লক্ষ বীর শহীদ বাংলা মায়ের বুকে,
তাজা রক্ত ঢেলে দিল বাংলা মায়ের সুখে।


বাংলা মা তোর বিশ্বের বুকে থাকবে মাথা উঁচু,
রক্ত দিবো জীবন দিবো হতে দিবোনা  নিচু।


মাগো তুমি থেকো সুখে অনন্তকাল ধরে,
মাগো তুমি রেখো আমায় শ্রেষ্ঠ সন্তান করে।


রচনাকালঃ ১৬ ই জুন ২০১৯ ইং ভৈরব, কিশোরগঞ্জ (কর্মস্থল)।