পাশের ছিটে বসা নব যৌবনা,সুন্দরী,রুপসী মেয়েটির প্রতি তরুণ যুবকটির যেন কোন ভ্রক্ষেপই নেই। মেয়েটির দিকে এক পলক দেখেই মোবাইলের স্কীনে চোখ সেঁটে ক্রমাগত আঙুল উঠা নামায় মহা ব্যস্ত তরুণ যুবকটি । তার পাশেই যেন রয়েছে চোখ জুড়ানো অবাধ সবুজের মনকাড়া সুপ্রশস্ত প্রেমময় লীলাভূমি। যেখানে মনের সকল প্রেম ঢেলে দিয়ে সাঁতরানো যায় অনন্তকাল ধরে।
অথচ তরুণ যুবকটির চোখ যেন তরুণীর প্রতি বিন্দুমাত্রও বিমোহিত অথবা পুলকিত হচ্ছে না।
কারন যুবকটির হাতে যে রয়েছে, চির যৌবনা ও বিপদগামী স্মার্ট ফোন। আর সেই স্মার্ট ফোনটি সারাক্ষণ নিজেকে ফেজবুক,ম্যাসেঞ্জার,ইউটিউব,ইমো,টুইটার,হোয়াটসআপ,ভাইবার,স্কাইফ, দিয়ে অপরুপ সাজে সাজিয়ে রাখে।
আর এই স্মার্ট ফোনটি যেন বিশ্বের সকল ভার্চুয়াল প্রেমিক প্রেমিকাদের জন্য অতি উত্তম ও শ্রেষ্ঠ অভয়ারণ্য ও বিচরণ ক্ষেত্র । যেখানে ইচ্ছে হলেই সম্পর্ক গড়া যায় ইচ্ছে হলেই ভাঙ্গা যায়।


আর তাই ভার্চুয়াল জগতে স্মার্ট ফোন দ্বারা স্মার্ট প্রেমে ত্রিশ বলে সেঞ্চুরি করার মত ত্রিশ দিনই প্রেমের সেঞ্চুরি হাকানো এবং বিশ্ব প্রেমিক খেতাবপ্রাপ্ত প্রেমিকটিও তখন ছিদ্রযুক্ত বেলুনের মত চুপসে থাকে যখন কিনা পাশেই বসে থাকে কামনা বাসনায় পরিপূর্ণ রক্তে মাংসে গড়া জলজ্যান্ত সুন্দরী ললনা।
তখন হয়ত সেই তরুণ ও তরুণী উভয়ই চ্যাটিং এ ব্যস্ত কিন্তু তারা নিজেরাও জানেনা পাশের জনই তার ভার্চুয়াল প্রেমিক অথবা প্রেমিকা। পাশে বসে থাকলেও কেউ কাউকে চেনে না, জানে না অথবা কথা হয় না সম্মুখ সাক্ষাতেও । তাদের চেনা জানা শুধুই মাত্র একটি মিথ্যে ফেজবুক আইডির সাথে। যা কিনা স্বার্থ ফুরালেই বন্ধ হয়ে যায় চিরতরে, নতুন কোন নামে ছুলনার পসরা সাজাবে বলে।


অথচ না বুঝেই অধিকাংশ তরুণ যুবক যুবতীই এই মিথ্যে মরুভূমির মরিচিকায় খুঁজে বেড়ায় পিপাসা মুক্তির সুপিয় জলরাশি। যা পাওয়া কতটা যুক্তিসঙ্গত ও বাস্তবিক তা অভিজ্ঞতা আর সময় বাড়ার সাথে সাথেই প্রত্যক্ষ হতে থাকে। কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে যায়। কারো জন্য হয় আবার অপূরণীয় মহা ক্ষতি।
তারপরেও যারা ভার্চুয়াল প্রেমের বিশ্ব প্রেমিক হয়ে জীবন সাজাতে চায় তাদের জন্য বলি দাদার কবর কোথায় আর দাদী কাঁদে কোথায়.....!!!