""" বয়স যখন বারো কি তেরো """"
          ------------------------------
বয়স যখন বারো কি তেরো
বিয়ের পিড়িতে বসতে হলো,
মেয়েতো দেখি চোখের পানিতে বুক ভাসিয়ে দিলো!
বলি! কাঁদছিস কেনরে পাগলী !
ছেড়ে যেতে মন চায়না বুঝি বাপের বাড়ি?  
এটাইতো বিধাতার নিয়ম,
এতো দিন যে বাড়ী ছিল তোর আপন।
সেটাকে পর করে পরকে করতে হবে আপন।
মেয়ে বলে! বুকটা কেন থর থরিয়া কাঁপছে ?
বাপকে ছেড়ে, মাকে ছেড়ে কেমন করে থাকবো তেপান্তরে ।
ভয় পাচ্ছিস কেনরে অতো!
তোর স্বামীর সাথে তোর প্রেমের গভীরতা হবে ততো!
সূর্য আর আকাশের মধ্যকার প্রেমের মতো।
এই মেয়ে আর কাঁদিসনা!
তোর সাজটা যে হয়ে গেলো নষ্ট!
কপালের টিপ লেপ্টে গেলো,
চোখের কাজল ভেসে গিয়ে উষ্ঠোদয় হলো কালো।
মেয়ে বলে! যাক নকল সাজ ধুয়ে মুছে,
আসল সাজ যেন পুড়ে প্রেমের আগুনে।
প্রেমতো দাড়িয়ে আছে তোর ভালো বাসার দরজায়।
প্রবেশ করতে দেনা,
ভালোবাসা এভাবেই জন্ম নেয়।
মেয়ে বলে অভিমানী সুরে !
ভাই ছেড়ে বোন ছেড়ে কেমন করে থাকবো বহু দূরে!
সত্যিই কি? আমায় সংসার দিবে?
আদর সোহাগ দিবে ভরে?
এতো ভাবছিস কেনরে ?
জীবনের মোড়তো এই ভাবেই ঘোরে!
আদর সোহাগে ভরিয়ে দিবে,
গড়িয়ে দিবে সোনার কাঁকন ।
কাঁতান, জামদানী, বেনারসী
পরবি নিত্যদিনই যখন তখন।
দিন গেলো মাস গেলো বছর গেলো,
যুগের পর যুগ হলো পার।
তবু কেন আপন হতে পারলোনা,
যেমন ছিল বাপের ঘর।