🇧🇩🌹দুঃখ গাঁথা বিজয়🌹🇧🇩
🇧🇩🥀বেগম সেলিনা খাতুন 🥀🇧🇩


ডিসেম্বর,
মহান বিজয়, বাঙ্গালী জাতির বিজয়ের মাস ,আনন্দ ও উল্লাসের মাস।
বাংলাদেশকে শৃঙ্খল মুক্ত করার মাস।


শুধু কি তাই?না! সেই সাথে জড়িত আছে
ইতিহাসের এক বেদনা বিধুর মাস । ১৪ই ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের হত্যার মাস।


মুক্তি যুদ্ধে চুড়ান্ত বিজয়ের মাত্র ৪৮ ঘন্টা আগে বাঙ্গালী জাতিকে চিরতরে মেধাশুন্য ও পঙ্গু করে দেওয়ার লক্ষে, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, শিক্ষক, সাংবাদিক, ডাক্তার, আইনজীবী ও গুরুত্বপূর্ন সরকারী-বেসরকারী পেশাজীবীদের ধরে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।


তাতে কি হয়েছে! পেরেছে কী? পারেনি তো! বাঙ্গালী জাতিকে দাবায়ে রাখতে।


নয় মাসের রক্তক্ষয়ি যুদ্ধের শেষে পেয়েছি আমরা স্বাধীনতা।
পেয়েছি একটা রক্তখচিত পতাকা।


১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ যুদ্ধ হলো শেষ।
বাংলাদেশ হলো শৃঙ্খল মুক্ত, পেল স্বাধীনতা।


উড়াল স্বাধীন আকাশে বিজয় নিশান। জয় বাংলার ধ্বনিতে মুখরিত হলো সারাদেশ। বাংলার ঘরে ঘরে বাজলো বিজয়ের গান। পেলাম আনন্দ!


রয়ে গেল বিষাদ। বুকের মধ্যে চাপা কান্না।
কবে ফিরবেন, মুক্তির মহানায়ক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান?
এখনো আছেন পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী।


অবশেষে সেই দিনটা এলো সন্নিকটে।
১০ ই জানোয়ারী ১৯৭২ ।


স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
এলেন ফিরে স্বপ্নের স্বদেশে।


লাখো মানুষের ভালবাসায় শিক্ত হলেন।
শুরু করলেন দেশ গড়ার কাজ।
উপহার দিলেন অনন্য দলিল-সংবিধান।


দেশের মাটিতে পা রেখেই দেখলেন বিধস্ত ঘর বাড়ি।
রাস্তা ঘাট সবই মহামারী।
নেই কোনো কলকারখানা, আছে বাতাসে লাশের গন্ধ।


বঙ্গবন্ধু কাধে তুলে নিলেন দেশ ও মানুষের সেবার দায়িত্ব।
স্বপ্নে বিভোর হলেন মহান নেতা।
হৃদয়ে অনুভব করলেন, বিশ্বের নিঃস্ব মানুষের দুঃখ দুর্দশার কথা ।
বিশ্বের মানুষের দুঃখ দুর্দশা দূরীকরনে মনে প্রাণে চেষ্টা চালিয়ে গেলেন।


কিন্তু সেই আসা পূরণ করার পূর্বেই বিশ্বাস ঘাতকদের হাতে প্রাণ হারালেন,মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।


মুক্তিযুদ্ধের কথা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক বিজয়ে সমগ্র পৃথিবী বিস্মিত হয়ে উচ্ছসিত প্রসংশা ও শ্রদ্ধায় অকুণ্ঠ চিত্তে বঙ্গবন্ধুকে পৃথিবীর জনপ্রিয় ওহিমালয়চুম্বী ব্যক্তিত্ব হিসেবে অভিনন্দিত করেছিলো।


সেই মহামানব সম্বন্ধে লিখতে গেলে ক্ষণিক স্তব্ধ হয়ে যাই। বার বার মনে করিয়ে দেয় ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্টের কথা।


যখন ফজরের আজানের ধ্বনিতে সারা দেশ কম্পিত ছিল, তখনই গর্জে উঠলো ঘাতকদের হাতের অস্ত্র। হত্যা করলো বাংলার মহান নেতা, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর স্বপরিবারকে।


রাখে আল্লাহ মারে কে!!
আল্লাহর অসীম অনুগ্রহে বেঁচে গেলেন ,পরিবারের দুই সদস্য, শেখ হাসিনা ,শেখ রেহানা।
হাল ধরলেন,বাবার আশা পূরণে।
প্রধানমন্ত্রী বঙ্গ কন্যা, শেখ হাসিনা।
বিচার করলেন,জাতির পিতার খুনিদের।


এই খুনিদের বাংলার মানুষ ঘৃণা করে। বঙ্গবন্ধুকে কেন হত্যা করেছে? কি অপরাধ ছিল তার?


"স্বাধীনতা" -বড় প্রিয় একটি শব্দ
অমিয় বাণী।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান শোনালেন সেই অমর বাণী- স্বাধীনতা। দেখালেন মুক্তির পথ- এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।