কবিতা লিখতে বসে, চাইনা মনে করতে তোমাকে,
চাইনা তুমি আমার কবিতার উপমা হয়ে,
আমার মনকে ভাসিয়ে দাও প্রেম জোয়ারে,
চাইনা তুমিই কবিতার ক্ষনি বা উৎস হয়ে থাকো আমার হৃদ মাঝারে।


কলম থমকে যায়, কি লিখবো তুমি যে থাকো চোখের কিনারায় ,
ঘুমাতেও দাওনা স্বপ্ন দেখাও, আমি যে তোমার কাছে অসহায়।
প্রতিটি শব্দে তুমি আছো, আছো বুকের গহীনে,
তোমায় ছাড়া কবিতার লাইন আসেনা যে মনে।


বকুল তলায় সন্ধা বেলায় সুবাস নিতাম আনমনে,
দু'হাত ভরে পাঁপড়ি তুলে গাঁথতাম মালা তোমার জন্য।
জানতামনা তখনও আমার জন্য ভালোবাসা আছে তোমার হৃদয়ের কোনখানে।


আমি প্রেম ভুলে গিয়ে বিরহ বিষাদ নিয়ে আছি,
সোনাঝরা রোদ নয়, দুপুরের তপ্ত রোদ ভালবাসি।
জোসনায় প্লাবিত আকাশ নয়, চাঁদহীন রাত্রি দেয় আমায় প্রশান্তি।


অঝোর ধারার বর্ষার চেয়ে চৈত্রের খরতাপ নিয়ে থাকি,
তোমার হাতের মুক্ত খচিত ভালবাসার পঙ্কিত মালা দিয়ে লেখা চিঠি,
হারিয়ে গেছে, খুজতে চায়না মন, মনটা হয়ে গেছে জল শূন্য নদী।


আমার এখন আলোর চেয়ে অন্ধকার যেন দেয় শান্তি।
ঝিরঝিরে দক্ষিণা হাওয়ার চেয়ে, ফাল্গুনের ঝড়ো হাওয়া বেশী ভালবাসি।


কোন এক সময় মনে হতো তোমার প্রতিটি কথায় আমার উৎসব,
তোমার সঙ্গ আমার হৃদয়ে সংগীতের মতো মনোরম।
তোমার প্রতিটি বাক্যালাপ আমার কাছে উত্তাল নদীর কল্লোল,
প্রতিদিনই তুমি তাঁরা ভরা রাতের আঁধারের কোলাহল।