স্মৃতির দাম বেশি না প্রয়োজনের?
একজন মহিলার বিশ বছর সংসার জীবন থেকে
হঠাৎ ছুটি পেয়ে গেল,
হোক না সে প্রাকৃতিক ডাকের সাড়া।


তবুও তো, চলে যাওয়া
সপ্তাহ খানেকের মাথায়
নতুন কারো অপেক্ষা করা বরও হয়ে উঠলো,
নতুন কারো স্বামী।


তবে- প্রচুর বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে যখন
একজন প্রেমিক তার প্রেমিকার সর্বস্ব কাড়ে,
আবারো নতুন কারো প্রেমে পড়ে
তখন বিশ্বাসের দাম বেশী না স্বার্থের দাম বেশী।


কাজের ফাঁকে প্রয়োজনীয় কথা শুনতে কি কেও আসে
আকষ্মিক বিপদের দায় কি
সে কখনো নেয়?
তবে স্বার্থের দাম বেশী না মানবতার?


অন্ন, বস্ত্রের ব্যবস্থা একজন পুরুষ করে বলে
তার খিটখিটে মেজাজ স্ত্রীকে সইতে হয়,
পক্ষান্তরে অন্য বাড়ী থেকে কোন আদুরে মেয়ে
প্রতিকূল পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে চলতে চলতে ক্লান্ত হয়।


তখন দিন শেষে বাসায় ফেরা মানুষটি
তার নিষ্পাপ হাসি মুখ দেখতে চায়,
কোন ডিস্টার্ব সে সহ্য করার মুডে তো থাকেই না
বরং অভিযোগের বাক্স তারই হাতে।


তাহলে একজন মেয়ের সহনশীলতাই কি তার জন্য অভিশাপ?
দিন শেষে মেয়েদের প্রাপ্য কি
শুধুই অবহেলা,
তবে কেন থাকে  শত প্রতিশ্রতির ডালা?


মেয়েরা বড়ই বোকা,
এরা বুঝতে পারে না
মিষ্টি ব্যবহারের আড়ালে কেবল মানুষ
কর্তব্যের হাজারো ফুলের চারা রোপন করে।


সমস্ত জীবন পরিচর্যা করে যার কাটার আঘাতই সইতে হয়,
আর সাজানো পৃথিবীতে তার জায়গাটা
যেকোন কারো হয়ে যেতে পারে
যে কোন মুহূর্তে স্বার্থের প্রয়োজনে।