রোজ দেখা হওয়া, ফোনে কথা বলার উপর
ভালোবাসা নির্ভর করে না,
ভালোবাসা চলতে থাকে-
বাড়তেই থাকে আপন নিয়মে।


যে কোন একজন, সে ক্ষেত্রে ভুল বোঝে
তাই দূরত্ব তৈরি হতে থাকে,
একটা সময় মৌখিকভাবে
সম্পর্ক ভেঙ্গে যায়।


বিষয়টি আলোচনা মুখর হয়ে ওঠে
কিন্তু ভালোবাসা তখনও থাকে,
কেবলি আত্মগোপনের রাস্তা খোঁজে
নিজেকে আঁড়াল করতে তখন মরিয়া।


সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন দুটি হৃদয়,
আহত পাখির ন্যায়, মর্মাহত মনটি নিয়ে বাঁচে,
বুদ্ধির স্বল্পতায় অথবা অভিমানে
পরস্পরকে দোষারোপ করে।


একটা সময় আসে, যখন গতিপথও
ভিন্ন হয়ে যায়, কিন্তু ভালোবাসা
তখনও থেকে যায়, হৃদয়ের কোণে
কোন না কোনভাবে শুভ কামনা হয়ে।


ছবির পাশে ফুল হয়ে
শুধু স্মৃতি গুলো ডুকরে ডুকরে কাঁদে।
কিন্তু কেও কাওকে ভোলেনা,
নিজেরা সেটাও অভিমান বশতঃ বুঝেনা।


তৃতীয় ব্যক্তিটির উপর বর্তায় সমস্ত অনীহা, অবজ্ঞা আর অবহেলা.
তৃতীয় ব্যক্তিটির মেহেদি রাঙ্গা হাত আর তার
প্রিয়জনের প্রিয় হতে পারলো না,
পার্কে বসে বাদাম খাওয়ার স্বপ আর পূরণ হলো না।


শখের মূল্য আর পেলনা তার জীবনে,
আহত হৃদয়ের ক্ষত সারাতে গিয়ে নিজেই হয়ে পড়ল
ক্ষত বিক্ষত হৃদয়ের অধিকারী,
অথচ প্রিয় মানুষটির প্রিয়জন, তাকে চিরশত্রু ভেবে নেয় আনমনে।