এই লাল ইটের বিল্ডিংটার সামনেই দেখা হয়েছিল ।
দিন... মাস... সাল— মনে পড়ছে না কিছুই
মধ্যদুপুর— শীতার্ত সূর্যটা কুয়াশার ওপারে
হয়ত কম্বল মুড়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল !
গায়ে আমার কৈশোরের গন্ধ লেগে থাকা চাদর, ঠোঁটে
জ্বলন্ত সিগারেট, ইউক্যালিপ্টাসের ছায়া থেকে সরে
আমি দাঁড়িয়েছিলাম খোলা আকাশের নিচে—
বিশুষ্ক মানুষের স্রোত থেকে ছিটকে এসে
জলের মত নরম এক টুকরো হাসি হেসে
মেয়েটি, সেই মেয়েটি চুপচাপ দাঁড়িয়েছিল পাশেই;
কোন এক নদীর নামে মেয়েটির নাম
আর নদীটার নাম ?
মনে পড়ছে না, এই মুহূর্তে ঠিক মনে পড়ছে না
কেউ কি দিতে পারেন মেয়েটির সন্ধান ?
 
গায়ের রঙ ? গায়ের রঙটা... ঠিক শেষ বিকেলের রোদের মত ।
লাল ফ্রেমের চশমার ভিতর ডুমুরের মত গোলগাল শান্ত দুটি চোখ
চোখে যেন রবি ঠাকুরের ছোটগল্পের অতৃপ্ত সমাপ্তির চিহ্ন
না, মাথায় স্কার্ফ কিংবা ওড়না কিছুই ছিল না
প্রিয় কোনো গাঁয়ের বাঁকহীন সরু মাটির রাস্তাটির মত
যেন নিতম্বে এসে থামল চুলের বেণী;
কোন এক নদীর নামে মেয়েটির নাম
আর নদীটার নাম ?
মনে পড়ছে না, এই মুহূর্তে ঠিক মনে পড়ছে না
কেউ কি দিতে পারেন মেয়েটির সন্ধান ?
 
সেখানে এখন চৈত্রের দহনে মাটিপোড়া গন্ধ—
খোলা আকাশের নিচ থেকে সরে
আমি দাঁড়িয়ে আছি ইউক্যালিপ্টাসের ছায়ায়
দু-চারটে ক্লান্ত মানুষের নিঃশব্দ পায়চারি
কিন্তু নেই, সেই মেয়েটি কোথাও নেই;
কোন এক নদীর নামে মেয়েটির নাম
আর নদীটার নাম ?
মনে পড়ছে না, এই মুহূর্তে ঠিক মনে পড়ছে না
কেউ কি দিতে পারেন মেয়েটির সন্ধান ?