সেই শৈশব থেকেই ছেলেকে নিয়ে মায়ের স্বপ্ন—
লেখাপড়া শিখে ছেলে একদিন
অনেক বড় ডাক্তার হবে;
কিন্তু যে ছেলের রক্তের সাথে মিশে আছে কবিতা,
সে যে কীভাবে ডাক্তার হবে—
কথাটি শত চেষ্টা করেও মাকে বুঝানো যায় নি ।


জানালার গ্রিলে মাথা ঠুকে স্তব্ধ হয়ে
বিষণ্ণ মুখে ছেলের দিকে তাকিয়ে থাকে মা;
কল্পনায় তাঁর অসীম কুয়াশা—
যে কুয়াশা আজ তাঁর ছেলের সুন্দর পৃথিবীকে
অনিশ্চয়তার অন্ধকারে ঢেকে দিল!
টাকার খনি হস্‌পিটালের
চেম্বারে বসে যে ছেলে অর্থের স্তূপ গড়ার কথা
তার হাতে আজ অর্থহীন একগাদা কবিতার বই;
সন্তানের কাণ্ডজ্ঞানহীন জীবনযাপন দেখে
গোটা পৃথিবীটা আজ মায়ের কাছে নরকতুল্য!