পথের মাঝে হলো দেখা; ঝড় বৃষ্টি আর মেঘের মেলা_
মেঘের মাঝে মেঘ বালিকা, জলোচ্ছ্বাসে ভাসিয়ে ধরা।
শস্য গেল জলের তলে; কৃষাণীর চোখে অশ্রু ধারা_
অশ্রু দিয়ে জীবন গড়া,  ধরার মাঝে সোনার দানা।
সেই সোনাতে বাতাস বহে; ঢেউ এর তালে জীবন চলে।


মেঘ বালিকার বর্বরতায়; শূন্য হল গোলার সোনা।
শূন্য গোলায় তাকিয়ে থাকা____
মাটির মানুষ অন্ন ছাড়া।
মেঘ বালিকার নিষ্ঠুরতায়; তীক্ষ্ণ চোখের অগ্নি-ধারায়।
সব হারালো_
মাটির মানুষ।


স্বপ্ন শুধু _এগিয়ে চলা।


পল্লী বধূর গড়ন ভালো, নরম সরম মনও ভালো।
পদ্ম যেমন জলে ভাসে, তেমনি থাকে মনের মাঝে।
সরু নাকের বাম পাশেতে_
ছোট্ট তারা জ্বলে-নিভে।
তারার মাঝে হারিয়ে যাওয়া_
এটাই হলো স্বপ্ন-আশা!


সেই আশাতে নতুন করে ধরার বুকে স্বপ্ন খোঁজে।
সোনা ফলায়; মাটির বুকে;
রক্ত যেন ঘামের সাথে।
সেই ঘামেতে সুবাস ভাসে,
অন্ন যোগায়; সব মানুষের।



মেঘ বালিকা শান্ত এবার_
বৃষ্টি ঝরায়  স্বর্ণ ফলায়।
কৃষাণীর মুখে হাসি ফোটে, সে হাসিতে চাষাও হাসে!
সুগন্ধি চালের নবান্নতে, দুজন মিলে ভেলায় ভাসে।


ভেসে ভেসে নদীর জলে,
পদ্ম মিলে মাঝেসাঝে।
মনে পরে, মেঘ প্রণয়িনীরে;
নদীর জলে_
যখন পদ্ম ভাসে।


মেঘ বালিকা হৃদয় হীনা, তবুও সে কাঁদতে জানে।
জলোচ্ছ্বাস জীবন মারে, নদীর জলে মানুষ ভাসে।


তেমনি আবার বৃষ্টি হয়ে, জীবন বাঁচায়
_____ভালোবেসে।