যদি হিমালয় থেকে তুমি
এক খন্ড বরফ এনে আমার ক্ষতে
আলতো ভাবে ছুঁয়ে দিতে,
আমি অভিশাপ দিতাম না।
বিন্দুহারা বৃত্তের ন্যায়
অপলকভাবে তাকিয়ে থেকে
ভুগর্ভে বিলীন নগরীর নর্তকীদের
কান্নাঘেরা প্রলাপের দংশনে দংশনে,
নিজেকে অভিশাপ দিতাম না।
প্রলয়ঙ্কারী হয়ে, ঐশ্বরিক অমরত্বের নেশায়
যত নর  হয়েছে বলি -এ তল্লাটে
যত রক্ত গংগা বয়েছে,বয়ে চলেছে অবিরত
সাধুতার বেশে, গেড়ুয়া ছ্দ্মাবরণে
ছাই-ধুলোময় আবেশে-তার পরেও
আমি কোন অভিশাপ দিতাম না।
প্রেতনদীর ওপারে, অজানার শীর্ষচূড়ায়
যে কৃষ্ণ নিশান দেখা যায়,
তার সমাপ্তি গীত পবন বক্ষে অনুরনন তোলে
কালো-হিম ছায়াগুলো সৌরসম্ভারে
বিলীয়মান, ম্রিয়মাণ, ক্ষীয়মান।
তাই অভিশাপ দেয়া মূল্যহীন।
আর অভিশাপ দেব না
তার আর প্রয়োজন নেই।