আমার পৃথিবী এখন বিধ্বস্ত
আশার সূর্য কখন গিয়াছে অস্ত;
তীমির হয়েছে অন্ধকারে
ডুবেছে সব মায়ার অাঁধারে,
কেহই আজি বুঝলো নারে
কি হবে আজি ভবপারে?


কথায় কেবল কথা বাড়ে
বোঝাবে আজি কে কাহারে,
নদী কেন যায় সাগরে
শুধায়েছো কি কখনো তাহারে?
কি আছে ঐ অসীম অাঁধারে
যাবে যখন পরপারে
তরাবে সেথায় কে কাহারে
জিগাও আজি বিধাতারে?


একটি কথাই সবারে বলি
নিরেট কঠিন এতো সত্যাঞ্জলী
এসেছেন হেথায় কত আল্লাওলী
এমনি সবাই গেছেন বলি
সবাই একদিন যাবো চলি;
কাননে কতই ফোটে কলি
ঝরে যায় তা আবার সন্ধা হলি
তেমনি ভবের সকল মায়াঞ্জলী
দিতে হবে সবইকে জলাঞ্জলী।


একিট কথা আমারে বলো
আকাশ কেন যে নীল হলো
আঁধার কেন নিকষ কালো?
চেয়েও যাহা পাওয়া না গেল
তাহায় যেন দহন জ্বালালো
এর চেয়ে যে মরণ-ভালো।


পাহাড় গলে ঝর্ণা ঝরে
কি যে ব্যাথা গুমরে মরে
কেউ কি তাহা বলতে পারে
দুঃখ দিয়েছে কে তাহারে?


বাঁচার আমার নেইকো অর্থ
চাইনি আমি কোনই স্বার্থ
কি যে তাহার পরমার্থ
শুনে নাই  কেহ অমার প্রার্থ
এখানেই আমি চরম ব্যর্থ।
জীবন  হেয়েছ অভিশপ্ত
রুধিতে মম হৃদ্বয় সিক্ত
সবই হলো বিষাদ তিক্ত
সকল অবসাদে হলাম রিক্ত।


তোমার সকল নিস্তব্ধতায়
তেমার সকল নিরবতায়,
কি ব্যাথা বাজে তব শুণ্যতায়
কত মায়া আর পবিত্রতায়!
নিরাশ হয়ে যে সকল আশায়
থাক তুমি যে মম একাত্মতায়।
===================


রচনাকাল ও স্থান: ৫ই ভাদ্র, ১৪০৫ বঙ্গাব্দ
২০ই আগষ্ট, ১৯৯৮ ইং, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।