যখন তোমারে নয়ন মেলিয়া দেখি
তখন কি যে পবিত্র থাকি!
যেদিন তোমারে হৃদ্বয় ভরিয়া ডাকি
শাসন-বাক্য মাথায় করিয়া রাখী;
কে যেন সেদিন অাঁখির তারায়
মোহন-মায়া আমায় বুলাইয়া যায়;
স্বর্গ মায়ায় হৃদ্বয় জুড়াইয়া যায়,
সুন্দর সব, সুন্দর সব,
আনন্দ-হাসি কত কলরব
যেদিকে ফিরাই আঁখি
যেদিকে চাহিয়া থাকি।


উদারতর ঐ নভনীলিমায়
উম্মুক্ত চিত্তের সাগর কিনারায়
উজ্জ্বলতর এ শশধরভায়
সুমধুরতর কোন সুরেতে গায়
মম কুঞ্জ বনের হৃদ্বয় পাখি।


অন্তরে লাগে কিসের দোল
দেহ-হৃদ্বয় পাই নব বল
দূরে যায় যত ক্ষুদ্রতা ছল
স্বর্গ হতে মায়ার অনল
কে যেন বিশ্ব-প্রেম সরল
প্রাণে দিয়ে  যায় মাখি।


তব হৃদ্বয় স্বর্গ আরোশ
যেন তোমার পূর্ণ পরশ
করে তোলে এ চিত্ত সরস
উথলিয়া উঠে বক্ষে হরষ
বেঁধেছে হিয়ায় মায়ার রাখি
বিবষ হইয়া আমি যে থাকি।


যেথায় তোমার দেখিতে না পাই
সেথায় যেন আমি না যাই
যদিও তোমারে ভুলিতে চাই
তোমার থেকে দূরেতে যাই
আঁধারে আমি ডুবিয়া যাই
কিছুই সেথায় দেখিতে না পাই;
যতই থাকো আড়ালে হায়
ভোলাতে পারবে কি এ আমায়
কি দিয়েছেন খোদা তোমায়
তব হৃদ্বয়ের আলোক মায়ায়
ভরিয়ে দিয়েছে কত পবিত্রতায়!
হারিয়ে গেছি আমি যে সেথায়
মিশে গেছি কখন তব আত্মায়।
তুমি যে মম সাধন ভজন
থাকবে সকল ভাবেতে মগন
আমার বুকের মানিক রতন
করবো তোমারে অনেক যতন
দেখি নাই ভবে তোমার মতন
এমন কোন আপন-স্বজন;
বেঁধেছো আজি এ কোন বাঁধন
ছিড়িবেনা যদি আসেও মরণ
তব নেত্রের শুভ দরশন
জাগায়  মম হৃদে মায়ারঞ্জন।


××××××××××××××××××××


রচনাকাল ও স্থান: ৯ই ভাদ্র, ১৪০৫ বঙ্গাব্দ
২৪শে আগষ্ট ১৯৯৮ ইং
আজিজ মহল্লা, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭।