জাগিছে হৃদে মম এ কোন পিপাসা
পথে-পথে খুজে শুধু ফিরে আসা
পাই না কোন পথের নিশা
ভেবে নাহি পাই কোন যে দিশা;
মনের মাঝে মরে না সে আশা
আজই পাব বুঝি তব দেখা
সুদূর ঐ নীলাভ আকাশ
যেখানে চুমেছে সবুজ দিগন্ত রেখা।


খুজেছি তোমায় সুদূর গাঁয়ের বীজন মাঠে
উপছে পরা নদীর ঘাটে
স্বর্গীয় ঐ আলোর রথে
অচেনা কোন পথের বাঁটে।
ভুলে যদি কখনো এসে
ক্ষণিক মায়ায় ম্লান হেসে
হাতটি ধর প্রাণের সখা।
হবে না জানি হেথায় থাকা
যাব চলে ওপারে শুধু যে একা
সেদিন রবে মোর এ অমর লেখা।


নীরব আঁধারে আজি এ সন্ধাতে
বসে রহী শুধু একা আমি এ ধরা প্রাতে
রাখে নাই কেহ হাত আমার এ শুন্য হাতে
ঘনায় গহন বর্ষা আজি এ শাওন রাতে
জল আসে আজি শুধু মোর আঁখিপাতে।


কোন সে কথা আজ মম স্মরণরাজে,
কাহার তরে মম বক্ষে হতাদর বাজে?
কি সে ব্যাথার ক্রন্দন আজ হিয়ার মাঝে
শুধু গুমরি ওঠে এ কোন শুন্য ব্যার্থতাতে?
বুক ফেটে যায় এ কোন তৃষ্ণাতে
জল আসে আজি মম আঁখিপাতে।


কাহার লাগি মম হৃদে এ ব্যাথার-বেদনা
গভীর নীশিথে এ ব্যাথা-
মোর লুকাতে নাহি পারি
আজি গোপনে একাকী শয়নে
উথলে উঠিছে বারি মম নয়নে
সেদিনও ছিল কি মোর এমনি নিশা
জেগেছিলো বক্ষে মম অপার তৃষা
শুধু যে তব বিরহ নিশ্বাস-মিশা;
বক্ষে জাগিছে তোমারে দেখিবার তৃষা
জানি না ইহা কেমন পিপাসা?
মরলে তবুও রইবে জানি
তব বিরহে কেটেছে এমনি
সকল দিবস সন্ধ্যা-রজনী।


কোথায় লুকালে বল হঠৎ-সহসা
ভেবে নাহি পাই কোন কোন কূলের দিশা
পাইনা খুঁজে কোন ভাবের ভাষা
তব আবেগে মোর কন্ঠ-ঠাসা
নেই মনে কোন উচ্চাসা
হৃদ্বয়ে রয়েছে শুধু আমৃত-তৃষা।