28 জুন 2020; 00:25


সত্যি কি কেউ ভালোবাসতে জানে অণু?
পঞ্চাশ বসন্তের প্রান্তে এখনও সংশয়ে-
যদিও ভালোবাসার অভাব বোধকরে হৃদয়,
ভালোবাসা হোক সংশয়হীন পানীয় জল-
অকাতরে বিলিয়ে হৃদয় নিরাপদ হোক,
স্বার্থের উর্দ্ধে কেউ অন্তত বলুক; তুমি!!


স্নেহগুলো হৃদয়ের তাপে সেদ্ধ হলে-
স্বার্থের রোষানলে তিক্ত ত্যাজ্য শূণ্য প্রয়োজনে,
মোহে দায় চাপিয়ে জ্ঞাণীর জ্ঞাণ-
পাশকেটে চলে যায় অচেনা দ্রুতযানে।


অণু দ্রুতযানে তুমি চড়েছো কখনও-
কাকের কা’ কা’ শব্দে মা’ মা’ শুনতে পেলে,
বদলে যায়নি তোমার হৃদয়ের আঙ্গিনা নতুন সবুজে?
মনে পড়েনি তির্য্যলতা তোমার স্নেহের অপেক্ষায়
আর- অপেক্ষমান কোন পুরুষ তোমাকে চায়?


সবুজের সমারোহে ভালোবাসা দেখি অণু-
দেখি বর্ণিল ফুলের বাগানে বাগানে-
ফুলে ফুলে মৌমাছিতে অগাধ ভালোবাসা-
দেখি জলের ভিতর রুপালী প্রাণের মিছিলে,
দ্যাখো সবুজ উদ্যাণ আজ মরুভুমি প্রায়-
অগণিত গলাকাটা ফুলের লাশ বাজারে বাজারে,
মৌমাছির ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয় ভোগের ছিপি আঁটা বোতলে-
জলকেলি খেলা রূপালী লাশেরা তৃপ্তির টেবিলে।


দেখেছি কষ্টের আঙ্গিনায় ভালোবাসা বিবর্ণ হতে
সুখের স্রোতে ভালোবাসা দোল খায়- দোলা’য়,
যেন নিরাপদে নিরাপদ থাকার কুটিল সখ্যতায়-
গোপনীয় গোপন প্রয়াসে আঁধারের বিশ্লেষণে
গণিতবিদের গভীর ব্যাখ্যায় প্রণতি জানানো মন,
কোন কালেই আমার নয়-


দেখছি প্রাণ বাঁচাতে ভালোবাসা মেঘের আড়ালে
বেঁচে থাকা শিল্পময় শরীরে স্বপ্রনোদিত প্রেম-
অদ্ভুত হৃদয়োষ্ণ সংগাহীন আবেদনে গোলাপী প্রলেপ
ক্ষমা করো আমায় তপ্ত বিলাসী মন-
অনাহারক্লিষ্ট দেহে ক্ষুধার্থ আত্মায় ঘুমের ঘোরে,
না আসুক সেই রহস্যাবৃত গোলাপী প্রলেপ।


অণু কি করে বলি- বলো? কি করে বলি-
ভালোবাসা প্রশ্নহীন উদ্যেশ্যহীন ঈশ্বরে অর্পিত,
প্রশ্রয়ে আশ্রয় নেই কোন অসভ্য সত্ত্বার,
অজস্র মতান্তরে নগ্নতার স্তুপে দেখেছি বহুবার-
ভালোবাসা গন্তব্যহীন নয়- সীমারেখাহীন নয়,
অনন্ত ইচ্ছার অভিপ্রায় নয়- আসক্তি নয়,
প্রচ্ছন্ন উদ্যেশ্যের পরোক্ষ খেলায়-
ভালোবাসা বলে আছে কিছু, আমার সংশয়।