একান্ত আপন নির্জনতায়-
বন্ধ ঘরের বিবস্ত্র অন্ধকারে
দৃষ্টিতে ভালোবাসার তারা উন্মোচন করি
পরিশ্রমী মন চোখ অনুভুতি অনুভবে
আত্মায় অবিরাম ক্রন্দনের কম্পনে
পৌঁছে যাই লাস্যময়ী অণু’র জ্বলজ্বলে আলোয়-
কান্নাকাটিরত হৃদয় আশা’র প্রার্থনা করে
জীবন যেন জীবন শিকারীদের শিকার না হয়।


আমাকে অপেক্ষা করতে শেখায়-
প্রেমের শেষ আনন্দ জানা পর্যন্ত
আমি নতুন রূপে প্রতিজ্ঞা করি প্রতিদিন
ধৈর্য্য এবং পরিশ্রমকে সঙ্গী করি,
বর্ণিল সুখের সোহাগী প্রেমের আশায়-
অণূ’র চোখে ত্যাগী ভালোবাসার অমৃত বার্তা পাঠাতে
পদব্রজে ভ্রমন করে যাই জীবনের চৌচির পথ
যতদিন প্রতিদিন নতুন দূরত্বের ধাঁধাঁ।


এবং অন্তরের কর্কট ব্যাথা ধুপের আগুনে ঢেলে
বাতাসের মতো অবিরাম যাত্রায়-
অন্বেষণ করে যাই নতুন অবস্থান
সন্ধান করে যাই অণু’র নিরাপদ নিঃশ্বাস,
জীবনের দীর্ঘ পথের বাঁকে বাঁকে-
স্বতঃসিদ্ধ ভালোবাসার জোয়ারের টানে
দুঃসাহসিক অপেক্ষায় যাত্রা আমার।


একদিন আকাশ থেকে আনন্দের বৃষ্টি ঝরবে
জ্বলজ্বল করে জ্বলবে নীলাভ তারা,
রাত ফেটে পড়বে কম্পমান প্রাণের খাঁচায়
আনন্দ আরামের অনুভবে-
অট্ট হাসি হাসবে বুকের শীতল পাহাড়,
যতদিন বাঁচিনি আমি-
মৌসুমী হাসির শব্দ গুঞ্জনে; বাসন্তি কর্ণকূহর
যতদিন দেখিনি-
ব্যাথা এবং আনন্দের যুগল জোড়া,
প্রস্তানহীন সময়ের জের।


এবং উজ্জ্বল সৌর আলো দেখে দেখে
অনুভব করবো অণু’র মায়াবতী উষ্ণ বাতাস,
আত্মার দরজা খুলে মন ঘুরে ঘুরে-
দেখবো অণু কোথায় আছে,
কোথায় অবসান তার যাতায়ত
ভয়ের সমস্ত সন্ত্রস্ত চিহ্ন বহুদূরে তাড়িয়ে,
অণ’র মুক্ত স্বাধীণ আত্মায়-
যেতে যেতে ক্রমশ ডুবে যাবো।।