ভেবে ভেবেই হারিয়ে ফেলি মনের যতো কথা
অণু কিছু লিখতে চাই তোমায়; ভাবি বারবার
অবচেতন মনে মাঝপথে ভুলে যাই সব
যেন আমি আজ মৃত্যুর মুখোমুখি স্মৃতির প্রহরী
লাগাম ছাড়া মন ছন্নছাড়ার মতো আজও উড়ে
শিরায় শিরায় তোমার স্নেহাগ্র শব্দের মিছিল।
যদিও প্রবীণ হতে চলেছে সেদিনের নবীন যৌবন
তবু তোমাকে কিছু না কিছু লিখতে ইচ্ছে করে
ল্যপটপের কীবোর্ডে দশ পান্ডবের শব্দ খেলায়
সাজায় আমাদের অতীতের নানা স্মৃতিকথা
ভালোবাসার মধুময় ভাষায় জড়ায়
বিভেদহীন অণু’র পঙতিমালার জটলা গুলো
শিমুল তুলোর মতো উড়ায় মনের আকাশে
শেষার্ধ বসন্তের উন্মোক্ত বাতাসে।
বর্ণমালা মনের ভিতর ঘোর-পাক খায়
ছন্দ খুঁজি; ছন্দ মিলায়
আবার ছন্দ হারিয়ে ভাবি
কিভাবে কখন কি লিখবো তোমায়
বয়সের ভারে ক্লান্তির ছাপ অবয়বে
সহস্র প্লাবনের আগুনে পুড়ে দগ্ধ আত্মা
অচেনা শব্দের ভাঙ্গাগড়ায় মৃয়মান অন্তর
টানাপোড়েন জীবনের সময় খাতায় এখনও
ভবঘুরে স্বপ্নের ভিড় সামাজিক দুরত্বে রাখা মনে
তবু প্রথাগত বসন্তের শেষ সীমায় পিপাসার্ত জমিনে
অস্তমিত সূর্যের তির্যক আলোয় জ্বলজ্বল করছে
পুরনো মন্দিরে গোলাপী আবিরে মাখা তোমার হাত
আর কাঞ্চন শিমুল ভাটফুলের বেগুনী নীলে
যৌবনে দেখা তোমার যুবতী ফাগুন।


২৯ মার্চ ২০২০, ২০ঃ২৩, ঢাকা, বাংলাদেশ।